শুভ জন্মদিন, হাবল!
পঁচিশ বছর ধরে মহাশূন্য থেকে হাবল স্পেস টেলিস্কোপের চোখ দিয়ে দেখে অসাধারণ সব ছবি তোলা হচ্ছে৷ হাবল টেলিস্কোপের পঁচিশ বছর পূর্তিতে হাবল নিয়ে আজকের ছবিঘর৷
মহাশূন্যে চোখ...
১৯৯০ সাল থেকে পৃথিবীকে ঘিরে ১৭ হাজার মাইল বেগে ঘুরছে হাবল টেলিস্কোপ৷ হাবল টেলিস্কোপ আয়তন এবং ওজনে একটা স্কুলবাসের মতো৷ ১১ মিটার দৈর্ঘ্যের টেলিস্কোপটির ওজন ১১ টন৷
ভাসমান রং
হাবল টেলিস্কোপের চোখ কত রং খুঁজে নেয় দেখুন৷ এগুলো আসলে ভাসমান গ্যাস৷ লাল রংয়ের সালফার, সবুজ রংয়ের হাইড্রোজেন এবং নীল রংয়ের অক্সিজেন ভেসে ভেসে অভূতপূর্ব এক দৃশ্যের অবতারণা করেছে, তাইনা?
কাচ ছাড়া চলেনা
হাবলের প্রথম ছবিটা ছিল হতাশাজনক৷ টেলিস্কোপে ভুল আয়না ব্যবহারের কারণে ফল খারাপ হয়েছিল৷ ১৯৯৩ সালে মহাকাশযান এন্ডেভারে আয়না বদলানোর জন্য বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হয়৷ দুটো নতুন কাচ লাগানোর পর শুরু হয় অসাধারণ সব ছবি তোলা৷ এ পর্যন্ত পাঁচবার হাবল টেলিস্কোপ ঠিক করতে হয়েছে৷ সর্বশেষবার ঠিক করা হয়েছে ২০০৯ সালে৷
স্পেস কিন্ডারগার্টেন
এই ছবিটি ২০০৯ সালের ডিসেম্বরের৷ নীল রংয়ের বিন্দুগুলো হলো সবচেয়ে কম বয়সি তারা৷ তাদের বয়সও কমপক্ষে কয়েক মিলিয়ন বছর৷ ম্যাগেল্যানিক মেঘের আড়ালে পাওয়া যায় শিশু তারাদের এমন কিন্ডারগার্টেন৷
প্রজাপতি?
ছবিটি দেখে কী মনে হয়? প্রজাপতির মতো লাগছেনা? হাবল টেলিস্কোপ কোথায়, কিসে এমন রংয়ের খেলা দেখেছে কে জানে! গত ২৫ বছরে ৩০ হাজারেরও বেশি তাক লাগানো ছবি পাঠিয়েছে হাবল৷
এডউইন পাওয়েল হাবল (১৮৮৯-১৯৫৩)
টেলিস্কোপটির নাম রাখা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নভোচারী এডউইন পাওয়েল হাবল-এর নামে৷
স্পেস স্মাইলি
হাবলের নবতম সৃষ্টি এই স্পেস স্মাইলি৷ এটা দিয়েই হাবল টেলিস্কোপকে হাসিমুখে শুভ জন্মদিন বলা যাক!