শুরু হয়েছে জার্মান-বাংলাদেশ ট্রেড শো
৬ নভেম্বর ২০০৮উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেছেন, চলমান বিশ্ব মন্দায় বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা, বরং লাভবান হওয়ারই সম্ভাবনা রয়েছে৷ তারা বলেছেন, বাংলাদেশ দ্বিতীয় পর্যায়ের পণ্য রফতানি করায় অর্থনীতিতে খুব একটা প্রভাব পড়বেনা৷
বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার হচ্ছে জার্মানি৷ বাংলাদেশও বিভিন্ন পণ্য জার্মানিতে রপ্তানি করে৷ ২০০৭ সালে বাংলাদেশ জার্মানিতে রপ্তানি করেছে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরোর পণ্য৷ অধিকাংশই তৈরী পোশাক৷ এ বছর এই পরিমাণ আরও বাড়বে৷
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, জার্মান রাষ্ট্রদূত ফ্রাঙ্ক মাইকে, বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ, বিজিসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন৷ এতে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি আনিসুল হক৷ মেলায় বিভিন্ন খাতের ৬৯ টি কোম্পানির ১০৩ টি স্টল রয়েছে৷ প্রতিদিন মেলাটি সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে৷
বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য সকল ক্ষেত্রে পরিবর্তন হচ্ছে৷ বাংলাদেশ এখন দেশি বিদেশি বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য৷ প্রতিনিয়তই এখন রফতানি পণ্যের তালিকা বাড়ছে এবং বৈচিত্র আসছে৷ তৈরি পোশাক, শিপ বিল্ডিং এবং পরিবেশ বান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উদীয়মান শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়েছে৷ পণ্য রফতানি ও প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ নতুন যুগে প্রবেশ করছে৷
তিনি আরো জানান, সকল ক্ষেত্রেই জার্মানি বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু৷ মুক্তিযুদ্ধের পর আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিত্সা সহায়তা দিয়েছিল জার্মানি৷
জার্মান রাষ্ট্রদূত ফ্রাঙ্ক মাইকে বলেন, জার্মানির বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের অবাধ প্রবেশ রয়েছে৷ এজন্য কোন শুল্ক দিতে হয়না৷ বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো জার্মানির বাজারে বেশ সাফল্য দেখাচ্ছে৷ গত পাঁচ বছরে জার্মান বাজারে বাংলাদেশীর পণ্যের রফতানি প্রবৃদ্ধি ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল৷ বাণিজ্যও বাংলাদেশের পক্ষে, প্রতি বছর প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরো৷ জার্মানি বাংলাদেশের পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার৷ জার্মানীতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক হলো বৃহত্তম রফতানি পণ্য৷
বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে উন্মক্ত দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে৷ নয়া বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ বিনিয়োগের অন্যতম স্থান হতে পারে৷ লাইসেন্স, কর, টেলিযোগাযোগসহ সবই বিনিয়োগবান্ধব৷ বেসরকারি খাতই হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন৷
বিজিসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, চলমান বিশ্ব মন্দায় বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা, বরং লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে৷ বাংলাদেশ দ্বিতীয় পর্যায়ের পণ্য রফতানি করায় অর্থনীতিতে খুব একটা প্রভাব পড়বেনা৷ অর্থনৈতিক পরাশক্তির গতিপথ পরিবর্তন হয়ে এখন পূর্বের দেশগুলোর দিকে ধাবিত হচ্ছে৷