শূন্য ঝুলি নিয়ে দেশে ফিরছেন ট্রাম্প?
১৩ নভেম্বর ২০১৭দীর্ঘ এশিয়া সফরকে সাফল্য হিসেবে তুলে ধরতে মরিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ বিশেষ করে ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুবিধা আদায় করতে ‘যথেষ্ট অগ্রগতি’র কথা বলছেন তিনি৷ এশিয়ায় ‘অভূতপূর্ব’ সাড়া পেয়েছেন বলে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দাবি করেন ট্রাম্প৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁকে যেভাবে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে, তাঁর কোনো পূর্বসূরির সম্ভবত সে রকম অভিজ্ঞতা হয়নি বলেও বড়াই করেছেন তিনি৷
তবে উত্তর কোরিয়া সংকটসহ অন্য অনেক দাবির মতো তিনি এ ক্ষেত্রেও বিস্তারিত কিছুই বলেননি৷ তবে বুধবার হোয়াইট হাউস উত্তর কোরিয়া ও বাণিজ্যের বিষয়ে বিবৃতি দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
এক বছর আগে নির্বাচনে জয়ের আগে থেকেই চীনসহ বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অন্যায় আচরণের অভিযোগ করে আসছেন ট্রাম্প৷ তাছাড়া সরকারি ভরতুকির মাধ্যমে বাজারে বিকৃতির বিরুদ্ধেও তোপ দেগে এসেছেন তিনি৷ ভিয়েতনামে অ্যাপেক দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত নেতারাও বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে রাজি হয়েছেন৷ তবে ট্রাম্প যেভাবে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে শুধু অ্যামেরিকার জন্য সুবিধা আদায় করতে চান, সেই পথে যেতে নারাজ বাকি দেশগুলি৷ তিনি এশীয় প্রশান্তমহাসাগরীয় বাণিজ্য কাঠামো থেকে অ্যামেরিকাকে বিচ্ছিন্ন করলেও বাকি ১১টি দেশ এই চুক্তি চালু রাখতে সম্মত হয়েছে৷ বিশেষ করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বহুদেশীয় চুক্তির পক্ষে সওয়াল করেছেন৷
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্পর্কে ট্রাম্পের মনোভাব ম্যানিলায় আসিয়ান দেশগুলির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ছবি তোলার সময়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ সোমবার নেতারা আড়াআড়িভাবে পরস্পরের হাত ধরে সহাস্য ছবি তুলেছেন৷ কিন্তু ট্রাম্প কিছুতেই নিজের হাত দুটি ঠিকমতো সাজাতে পারছিলেন না৷ শেষ পর্যন্ত তিনি দুটি হাতই ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর দিকে বাড়িয়ে দেন৷ কয়েক মিনিট পর ভুল বুঝতে পেরে তিনি অবশ্য ফিলিপাইন্সের প্রেসিডেন্টের দিকেও একটি হাত বাড়িয়ে দেন৷ উল্লেখ্য, এবারের আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলি ছাড়াও অ্যামেরিকা, চীন, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, ক্যানাডা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতারাও উপস্থিত ছিলেন৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স , ডিপিএ)