ষষ্ঠ পর্বের ভোটে অশান্ত নন্দীগ্রাম-সহ পশ্চিমবঙ্গ
পশ্চিমবঙ্গে ষষ্ঠ পর্বের ভোটেও অশান্ত। উত্তেজনা, সহিংসতা, এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ।
ভোটের দিনে
নন্দীগ্রামে তৃণমূলের অভিয়োগ, বিজেপি অনেক জায়গায় তাদের এজেন্টদের বসতে দেয়নি। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তৃণমূল অনেক জায়গায় এজেন্ট দিতেই পারেনি।
বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা
ঝাড়গ্রামে বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়। গাড়িতে ইট মারা হয়। নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা হয়। বেলদায় বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কেশপুরেও অশান্ত ছিল। দাঁতনেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
কমিশনের কাছে অভিযোগের বন্যা
বিকেল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৯৮৫টি অভিযোগ জমা পড়ে। তার মধ্যে ৩৮৫টি জমা পড়েছে কোনো না কোনো দলের তরফে।
সবচেয়ে বেশি ভোট
অশান্তি সত্ত্বেও দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বিকেল তিনটে পর্যন্ত রাজ্যের আট কেন্দ্রে গড়ে ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ে বিষ্ণুপুরে।
নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুন
নন্দীগ্রামে দুই দিন আগেই খুন হল বিজেপি কর্মী। মনসা বাজারে বিজেপি কর্মী রথীবালা দেবী রাত একটার পর ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সঙ্গে ছিলেন তার বড় ছেলে। এরপর তারা আক্রান্ত হন। রথীবালাকে কুপিয়ে খুন করা হয়। তার ছেলে আশঙ্কাজনক। ভোটের দিন তার বাড়ি শোকস্তব্ধ।
কী বলছেন ছোট ছেলে?
প্রয়াত বিজেপি কর্মীর ছোট ছেলে বলছেন, সেদিন ফোন আসার পর না বেরোলে এটা হতো না। তিনি মাকে হারিয়েছেন। দাদা হাসপাতালে বাঁচার লড়াই করছেন। আর তিনি বাড়ির সামনে চুপ করে বসে আছেন।
ছোট বউয়ের দাবি
রথীবালা দেবীর ছোট বউয়ের দাবি, ন্যায়বিচার করতে হবে। ঘটনার পর কোনো নেতাই তাদের বাড়িতে আসেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
সহিংসতার বলি
নন্দীগ্রামে রথীবালার মৃত্যুর পর ব্যাপক সহিংসতা হয়। অনেক দোকান ও বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ভাঙচুর চলে। সেরকমই একটা দোকানের ছবি।
পথে নিরাপত্তারক্ষীরা
পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তারক্ষীরা পথে নামেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় টহল দেন। রাস্তায় রাস্তায় ঘোরেন। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন।
মহিষাদলে খুন
শুক্রবার রাতে মহিষাদলে একজন তৃণমূল নেতা খুন হন। তিনি পার্টি অফিস থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় তাকে আক্রমণ করা হয়। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে।