সংগীত, সমাজ সেবা
১৫ নভেম্বর ২০১২১৯৭৪ সালে ‘ওয়াটারলু' গানটি দিয়ে ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট'-এ সুইডেনের জন্য জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেয় ‘আবা'৷ আর সেই সাথে আন্তর্জাতিক পপ সংগীতের জগতে ছড়িয়ে পড়ে ‘আবা'-র নাম৷
‘দ্য বিটেলস'-এর পর আর যে ক'টি সংগীত গোষ্ঠি বিশ্বব্যাপী শীর্ষ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে নিঃসন্দেহে ‘আবা' তাদের অন্যতম৷ সে সময় অন্যান্য সদস্যদের সাথে আনি-ফ্রিড'এর অসাধারণ সুরেলা কণ্ঠস্বর জয় করে নেয় বিশ্বর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে অসংখ্য সংগীত অনুরাগীর হৃদয়৷
আনি-ফ্রিড লুংস্টাড'এর জন্ম ১৯৪৫ সালে নরওয়ের একটি ছোট্ট গ্রামে৷ বাবা ছিলেন জার্মান সৈনিক৷ খুব কম বয়সে মা ও দিদিমার সঙ্গে তিনি চলে আসেন সুইডেনে৷ ছোটবেলা থেকেই তাঁর মনোগ্রাহী কণ্ঠ মুগ্ধ করেছে তাঁর শিক্ষক ও সহপাঠিদের৷
মাত্র ১২ বছর বয়সে একটি ব্যান্ডের সাথে গান গাইতে শুরু করেন তিনি৷ এরপর ১৯৬৭ সালে ‘ই এম আই' রেকর্ড কোম্পানি আয়োজিত সুইডোনের জাতীয় ‘নবাগত সংগীত শিল্পী প্রতিযোগিতা' জয়ের মধ্য দিয়ে সুপরিচিতি হয়ে ওঠেন আনি-ফ্রিড এবং চুক্তিবদ্ধ হন ঐ কোম্পানিটির সঙ্গে৷ সংগীতের সূত্র ধরেই তাঁর পরিচয় হয় শিল্পী আগ্নেথা, বিয়র্ন ও বেনি'র সাথে৷ ১৯৭৩ সালে তাঁরা গঠন করেন ‘আবা' সংগীত গোষ্ঠী৷ আর সেই থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী৷
আশির দশকের প্রথম দিকে অবশ্য এই গোষ্ঠী ভেঙে যায়৷ তখন ফ্রিডা নামে তিনি শুরু করেন তাঁর একক ক্যারিয়ার৷ বিখ্যাত সংগীত শিল্পী ফিল কলিন্স'এর প্রযোজনায় ১৯৮২ সালে মুক্তি পায় তাঁর অ্যালবাম ‘সামথিং গোইং অন'৷ আন্তর্জাতিক সাফল্যও পায় অ্যালবামটি৷
৯০'এর দশকে সংগীত জগত থেকে কিছুটা সরে আসেন ফ্রিডা৷ ব্রতী হন সমাজ সেবায়৷ বিশেষ করে পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে৷ ১৯৯১ সালে তিনি গঠন করেন ‘পরিবেশের জন্য শিল্পী' নামাক একটি সংস্থা৷ এ অবধি বেশ কিছু বেনেফিট কনসার্টে অংশ নিয়েছেন তিনি৷ ২০১০ সালে পপ সংগীত জগতে অসাধারণ অবদানের জন্য ‘আবা' সংগীত গোষ্ঠির সঙ্গে ‘রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেইম'-এ অভিষিক্ত হন আনি-ফ্রিড লুংস্টাড৷