1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা : অন্তর্বর্তী আমলে যেমন

৭ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে গণমাধ্যম এখনো চাপের মুখে আছে - বলছে সম্পাদক পরিষদ।

https://p.dw.com/p/4mm8R
মতপ্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চেয়ে প্রতিবাদ
মতপ্রকাশ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে এসেছেছবি: MOHAMMAD PONIR HOSSAIN/REUTERS

অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাসে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ও অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে৷

এ পর্যন্ত দুই দফায় মোট ৪৯ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল  করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।কার্ড বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় আছেন আরো অনেক সাংবাদিক।

তবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী মনে করেন, "বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম স্মরণকালের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে।” বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ মনে করেন সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার ও তাদের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল করে স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করা হচ্ছে,

" সাংবাদিক নামের যারা প্রকাশ্যে গণহত্যায় ইন্ধন দিয়েছে, তাদের আইনের আওতায়  আনতে হবে। ফ্যাসিবাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নে যাদের সচিবালয়ের প্রেসকার্ড দেয়া হয়েছে, তাদের কার্ড বাতিল করে স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিত করা হবে।”

স্টেট ইন্টারভেনশনটা নতুন ফরম্যাটে ফিরে এসেছে: সাইফুল আলম চৌধুরী

‘স্বার্থের বাইরে গেলেই গণমাধ্যমকে আক্রমণ ও সাংবাদিক হেনন্তা'

এদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক বিবৃতিতে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের হামলা-ঘেরাওয়ের হুমকি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচার মামলা ও হেনস্তার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ, হামলা ও হুমকি বৈষম্যবিরোধী চেতনার পরিপন্থি। ভিন্নমত ও মুক্ত গণমাধ্যমের ঢালাও নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তাহীনতা মূলত কর্তৃত্ববাদের পুনরাগমনের পথ সৃষ্টি করবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘ আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, স্বার্থান্বেষী বিভিন্ন মহল দেশের কোনো কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা, হামলা, ঘেরাওয়ের হুমকিসহ নানা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। দৃশ্যত অতিক্ষমতায়িত কোনো কোনো মহলের স্বার্থের বাইরে গেলেই গণমাধ্যমকে আক্রমণ ও সাংবাদিক হেনন্তা, গণমাধ্যমকে দখল বা খেয়ালখুশিমতো পরিচালনার প্রচেষ্টা চলছে, যা আসলে মুক্ত গণমাধ্যমের সম্ভাবনার জন্য অশনিসংকেত।''

৫ নভেম্বর সম্পাদ পরিষদ এক বিবৃতিতে বলেছে, "বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে আছে।” পরিষদ গণমাধ্যমসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে ‘মব জাস্টিস' কঠোর হাতে দমন করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

সম্পাদক পরিষদ একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিপন্থি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে।

সম্পাদক পরিষদ বলেছে, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও এর মধ্য দিয়ে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিশ্রুতি হলো, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। তারপরও সম্পাদক পরিষদ অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, এখনো সমাজের কোনো কোনো অংশ থেকে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতার ওপর নানাভাবে আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।

‘অ্যাক্রিডিটেশনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষের উচিত নয়'

আর কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিষ্ট (সিপিজে) সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে মনে করা আরো ২৯ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন অন্তর্বর্তী তথ্য মন্ত্রণালয়ের বাতিল করার খবরে সিপিজে উদ্বিগ্ন। সিপিজে বলেছে, সাংবাদিকদের কাজের জন্য তাদের নিশানা বানাতে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষের উচিত নয়। এর ফলে গণমাধ্যম সেন্সরশিপের ঝুঁকিতে পড়বে।

‘বেসরকারি টেলিভিশনের অনেকগুলো তো দখল হয়ে গেছে'

নাজনীন মুন্নি বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসির অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর এবং টকশো উপস্থাপক। মাঠের সাংবাদিকতা দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু। সম্প্রতি তার অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। তিনি একটি মামলারও শিকার হয়েছেন। তার কথা,"আমার অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের মেয়াদ দেড় বছর আগেই শেষ হয়েছে। আমি আর নবায়ন করিনি। তাহলে আমার কার্ড বাতিল করে কী লাভ হলো? আসলে এটা হয়তো একটা চাপে রাখা, অন্য সাংবাদিকদের মেসেজ দেয়া। তালিকা করে ইঙ্গিত দেয়া । তাহলে আর সাংবাদিকতার জায়গা রইলো কোথায়?”

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, " আমরা তো অপরাধ করেছি কেউ কেউ। সাংবাদিকতার সীমা লঙ্ঘন করেছি। কিন্তু এই সীমা লঙ্ঘনের তো শাস্তি আছে। আইনে তারও বিচার করা যায়। কিন্তু কোনো সাংবাদিককে যাত্রাবাড়ি এলাকার একটি হত্যা মামলা ৮০-১০০ জনের সঙ্গে আসামি করা, যিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না-  এটা ঠিক হচ্ছে কিনা। নানা রকম তালিকা বের হচ্ছে। এখানে নানা পক্ষ সক্রিয়। এগুলো তো সাংবাদিকতার জন্য  চাপ।”

তিনি বলেন," আমার কাছে মনে হয়েছিল আমরা নতুন দিনের শুরু করেছি, প্রথম দিকে পলিটিক্যালি একটু হ্যান্ডেল করতে সময় লাগবে। কিন্তু তিন মাস তো হয়ে গেল, কিন্তু পুরনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। তাই আমার মনে হয় সামনের দিকে কি সুদিন আসবে সেই প্রশ্নটাই রয়ে গেছে।”

আর একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র স্পেশাল করেসপনডেন্ট এবং প্ল্যানিং এডিটর মিল্টন আনোয়ার বলেন, "আগের সরকারের আমলে নানা রকম চাপ ছিল। সরকারের, সরকারের মন্ত্রীদের, দলীয় নেতাদের চাপ ছিল। সেই চাপ যে বদলেছে তা নয়। ব্যক্তি হয়তো বদলেছে, পদ্ধতি বদলেছে।”

এটা হয়তো একটা চাপে রাখা, অন্য সাংবাদিকদের মেসেজ দেয়া: নাজনীন মুন্নি

"আর  বেসরকারি টেলিভিশনের অনেকগুলো তো দখল হয়ে গেছে। ফলে চাররির নিরাপত্তা আগেন মতো নেই। অনেকের চাকরি চলে যাচেছ। বর্তমান সরকারের যে মনোভাব তা যে খুব ইতিবাচক তা-ও না। কোনো একজন উপদেষ্টা যখন বলেন যে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো জুলাই আন্দোলনের কিছুই দেখায়নি, তখন পুরো ব্যাপারটা একটা ডিনায়েলের মধ্য দিয়ে যায়। এটা স্বস্তিকর না,” বলেন তিনি। তার কথা," এখন বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চলছে। ফেসবুকে নানা ধরনের তালিকা প্রকাশ হচ্ছে। আর কোনো সাংবাদিকের নাম ধরে বলা হচ্ছে যে, তার চাকরি এখনো কীভাবে আছে? ফলে একটা অরাজক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।”

‘কোনো চাপিয়ে দেয়া পথে এবং কোনো গোষ্ঠীর চাপে স্বাধীন সাংবাদিকতা হয় না'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সাইফুল আলম চৌধুরী বলেন, "এখানে তিনটি বিষয় আছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে, যার সঙ্গে সাংবাদিকদের সম্পর্ক নাই। অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল এবং আরেকটি হচ্ছে পপুলার ট্রেন্ড যেদিকে, সেদিকে সাংবাদিকতা করতে হবে। তার বিরুদ্ধে করা যাবে না।”

"আগে যে চাপটি ছিল তা হলো একটি লিগ্যাল প্রসেসের নামে স্টেট ইন্টারভেনশন। আর এখন যেটা হচ্ছে তা হলো:  সেটা হয়তো স্টেট ইন্টারভেনশন না, তবে যারা সরকার পক্ষে বাইরে আছে, তারা চাপ প্রয়োগ করছে যে, এই ধরনের নিউজ করা যাবে না, এই ধরনের নিউজ করা যাবে। নিষিদ্ধ সংগঠনের লোকজনের সাক্ষাৎকার নেয়া যাবে না। এটা আবার সরকারের পক্ষ থেকেও হচ্ছে। একটা সার্কুলার দেখলাম তথ্য মন্ত্রণালয়ের, কতজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। এটার ক্রাইটিরিয়া কী? কোনো অপরাধ করলে মামলা হতে পারে, বিচার হতে পারে। ফলে স্টেট ইন্টারভেনশনটা নতুন ফরম্যাটে ফিরে এসেছে,” বলেন তিনি।

তার কথা," বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছিলেন গণমাধ্যমসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমরা নিয়ন্ত্রণ করবো। এই নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি স্বাধীন সাংবাকিতার পথে অন্তরায়। সরকার সহযোগিতা করবে, নিয়ন্ত্রণ না।”

আর টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে বলেন, " এখন যা হচ্ছে তা অর্গনাইজড ওয়েতেই হচ্ছে বলে মনে করছি। এটা বন্ধ করতে হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে মেসেজ দিতে হবে। তারা স্বাধীন সাংবাদিকতার কথা বলছেন, কিন্তু এই যে ঘটনাগুলো ঘটছে তার বিরুদ্ধে এখনো তারা কিছু বলেননি। তাদের জানাতে হবে কোনো চাপিয়ে দেয়া পথে এবং কোনো গোষ্ঠীর চাপে স্বাধীন সাংবাদিকতা হয় না।”

আগের চেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের কার্টুনিস্টরা

‘সংবাদ মাধ্যম স্মরণকালের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে'

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিনের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী অবশ্য মনে করেন," বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম স্মরণকালের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে। এখন স্বাধীনভাবে লেখা, স্বাধীনভাবে বলা যায়। গত ১৫ বছর আমরা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের সময় লিখতে পারিনি, বলতে পারিনি। নির্যাতনের শিকার হয়েছি।”

"তবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গণহারে মামলা দেয়া আমি সমর্থন করি না। হত্যা মামলায় সাংবাদিকদের আসামি করে এই পেশাকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে। আমরা এটা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে কথা বলেছি। কেউ কোনো অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে সেই অপরাধে মামলা হতে পারে। তবে আগে তো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেই কোমরে দড়ি বেধে কারাগারে নেয়া হতো। সেটা তো এখন হচ্ছে না। মামলা হলেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আগে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদও করা যেতো না।” আর অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ সরকারও এই কাজ করেছিল। আমার কার্ডও বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু আমার কথা হলো, আওয়ামী লীগ যা করেছে তা এই সরকারও করবে কেন? যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে- তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু এমন সাংবাদিকের কার্ডও বাতিল করা হয়েছে যারা পেশাদার সাংবাদিক।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, "এত দিন স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল যেসব সাংবাদিকরা , ফ্যাসিস্টের সহযোগী ছিল, তাদের কি আপনি সাংবাদিক বলবেন?  এত দিন ধাপে ধাপে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নষ্ট করা হয়েছে, তাদের পায়ে শিকল পড়ানো হয়েছে৷ যারা প্রকাশ্যে ফাসিষ্ট হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তারা তো সাংবাদিক না, অপসংবাদিক।তাদের ব্যাপারে এই সরকারকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।”

"যারা প্রকাশ্যে গণহত্যায় ইন্ধন দিয়েছে তাতের আইনের আওতায়  আনতে হবে। আর ফ্যাসিবাদের নিজস্ব অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে যাদের সচিবালয়ের প্রেসকার্ড দেয়া হয়েছে, তাদের কার্ড বাতিল করতে হবে,” বলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "যাদের কার্ড বাতিল করা হয়েছে এবং যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা দীর্ঘ সময় ধরে তদন্ত করে, তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেই দেয়া হয়েছে। অপসাংবাদিকতা দূর করার মাধ্যমেই সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হচ্ছে।”

‘আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ব্যাপারে শতভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ'

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, " আমরা (বর্তমান সরকার) সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ব্যাপারে শতভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ।”

 তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনো সংবাদপত্রের ওপর কোনো অ্যাটাক টলারেট করবো না। আপনারা দেখেছেন আমরা আসার পরে কোনো পত্রিকা, কোনো টিভি, কোনো নিউজ ওয়েবসাইট আমরা শাটডাউন করিনি। আমাদের তরফ থেকে আমাদের এজেন্সির তরফ থেকে ফোন করা হয়নি যে আপনি এই নিউজটি নামান বা ওঠান।...গত ১৫ বছরে এটি একটি রীতি ছিল।''

প্রেস সচিব আরো বলেন, ‘‘আমরা যদি মনে করেছি যে, আপনি নিউজটি ভুল দিয়েছেন, আমি আপনাকে ভদ্রভাবে জানিয়েছি যে, এই নিউজটি ভুল, অনুগ্রহ করে একটু দেখেন, পুনরায় দেখেন নিউজটি।...আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ব্যাপারে শতভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ।''