1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সর্বোচ্চ নেতার বার্তা

১৪ আগস্ট ২০১৮

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে সংলাপ অথবা যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷ অভ্যন্তরীণ কোন্দল সত্ত্বেও ইরান আপাতত পরমাণু চুক্তি মেনে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/337FA
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনাই
ছবি: khamenei.ir

একদিকে একতরফা নিষেধাজ্ঞা, অন্যদিকে সংলাপের প্রস্তাব দিয়ে ইরানের নেতৃত্বকে বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে পরমাণু চুক্তি বাতিল করে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ফলে সামগ্রিকভাবে ইরানের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ কারণ, ওয়াশিংটন অন্যান্য দেশের উপরেও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য চাপ দিয়ে চলেছে৷ অ্যামেরিকার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থে অনেক বড় কোম্পানিও বাধ্য হয়ে ইরানকে এড়িয়ে চলছে৷ আর্থিক সংকটের জের ধরে সে দেশের মুদ্রার বিনিময় মূল্য নাটকীয়ভাবে পড়ে গেছে৷  এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল হওয়া থেকে বাঁচাতে সংলাপের ডাকে সাড়া দেবে ইরান, এমনটা যারা ধরে নিয়েছিলেন, তাঁদের ধারণা এখনো সত্য প্রমাণিত হয়নি৷

সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনাই এই মুহূর্তে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন৷ এমন দু-মুখো সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত কি – এক টুইট বার্তায় তিনি এই প্রশ্ন তোলেন৷ তাঁর মতে, ইরান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পর্যায়ে আকাঙ্ক্ষিত শক্তি অর্জন করলে তবেই ঝুঁকিপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতে পারে, যাতে মার্কিন চাপ ও তর্জনগর্জনে কিছু এসে না যায়৷ ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মতে, ওয়াশিংটন ইরানের সঙ্গে সংলাপ অথবা যুদ্ধের বিকল্প তুলে ধরেছে৷ তাঁর সাফ জবাব, ইরান এর মধ্যে কোনোটাই বেছে নেবে না৷

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আপাতত সংঘাতের পথে যাচ্ছে না ইরান৷ অন্তত আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত পরমাণু চুক্তির শর্ত মানতে চায় ইরান৷ ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রশ্নে ইরানের প্রতি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দেখিয়ে চলেছে৷ তবে ইরানের ক্ষমতাকেন্দ্রের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলছে৷ নরমপন্থি প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি পরমাণু চুক্তি মেনে চলতে চাইলেও কট্টরপন্থিরা অবিলম্বে তা বর্জন করার পক্ষে৷ খামেনেই নিজে রোহানির সরকারকে বর্তমান আর্থিক সংকটের জন্য দায়ী করেছেন৷ তাঁর মতে, নিষেধাজ্ঞা নয়, দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণেই দেশে এমন খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷ মূল্যবৃদ্ধি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের রোষের প্রেক্ষাপটে খামেনেই এমন মন্তব্য করেন৷ তবে রোহানি সরকারকে বরখাস্ত করার দাবি নস্যাৎ করে দেন তিনি৷ এর ফলে দেশের শত্রুর হাত আরও শক্ত হবে৷ তার বদলে রোহানির সরকারকে ক্ষমতায় থেকে বর্তমান সমস্যাগুলির সমাধান করতে হবে বলে মনে করেন খামেনেই৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি, এএফপি)