1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংলাপকে নির্বাচনের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ইইউ

৩১ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সরকারের সংলাপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)৷ বাংলাদেশে ইইউ-র হেড অফ ডেলিগেশন রেন্সজে তেরিংক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এটা নির্বাচনের জন্য একটি ভালো অগ্রগতি৷''

https://p.dw.com/p/37Q3p
Bangladesch Dhaka Rensje Teerink
ছবি: DW/H. U. R. Swapan

নির্বাচনে ইইউ-র পর্যবেক্ষক দল না পঠানোর বিষয়টিও আবারো নিশ্চিত করেন তিনি৷ বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ সম্পর্কে ডয়চে ভেলেকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ইইউ দূত বলেন, ‘‘আমার পক্ষে একজন দর্শক হিসেবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিতর্ক নিয়ে মন্তব্য করা কঠিন৷ প্রত্যেক পক্ষেরই তাদের নিজস্ব বক্তব্য আছে৷ কিন্তু আমার কাছে যেটা ইতিবাচক মনে হয়েছে যে বিরোধী দলগুলো সরকারের সঙ্গে ১ নভেম্বর সংলাপে বসছে৷ এটা অনেকে ভালো একটি অগ্রগতি৷ এই সংলাপকে আমরা স্বাগত জানাই৷''

তিনি যোগ করেন, ‘‘আমি এক বছর হলো বাংলাদেশে এসেছি৷ তখন থেকেই নির্বাচনের কথা শুনছি৷ শুনেছি বিক্ষোভ হবে৷ রাস্তায় প্রতিবাদ হবে৷ সেই নির্বাচনের সময় এসে গেছে৷ আমরা নির্বাচনকে স্বাগত জানাই৷ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনকে স্বাগত জানাই৷ বিরোধীরা নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আমরা আশা করি এবং বিশ্বাস করি বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য এবং স্বচ্ছ নির্বাচন হবে৷ এবং আমরা গভীর আগ্রহের সাথে এই নির্বাচনি প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছি৷

কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল না পঠানোর বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘একটি কার্যকর নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানো বড় একটি কাজ৷ এতে অনেক সদস্য থাকেন এবং এর প্রস্তুতি নিতে মাসের পর মাস সময় লাগে৷ এটা অনেক ব্যববহুল, সময়সাপেক্ষ এবং দীর্ঘ প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়৷ কিন্তু এটা এবার বাংলাদেশের জন্য আমাদের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি৷ কিন্তু এর মানে নয় যে আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছি না৷ আমাদের দু'জন প্রতিনিধি থাকবেন, তাঁরা দেখবেন৷ আপনাদের স্থানীয় পর্যবেক্ষক থাকবেন৷ তাঁরা হয়ত অনেক ভালো কাজ করবেন৷ তাঁরা দেখবেন আসলে নির্বাচনের সময় আসলে কী ঘটে৷''

‘আমাদের দু’জন প্রতিনিধি থাকবেন, তাঁরা নির্বাচন দেখবেন’

ইইউ কীসের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষক পাঠায় – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আসলে আমাদের অগ্রাধিকার বিবেচনা করতে হয়৷ পৃথিবীর অনেক দেশে নির্বাচন হয়৷ আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে কোথায় পর্যবেক্ষক দল পাঠানো অর্থপূর্ণ হবে৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই কাজটি করার জন্য পর্যাপ্ত সময় এবং নিরাপত্তা৷ আরো অনেক বিষয় থাকে৷

বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে শুধু আমরা কেন, সারাবিশ্ব নজর রাখছে৷কারণ এই নির্বাচনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ ১০ কোটি ভোটার এই নির্বাচনে ভোট দেবেন, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷''

এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে সদ্য পাশ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়৷ এই উদ্বেগের কারণ জানতে চাইলে রেন্সজে তেরিংক বলেন, ‘‘ডিজিটাল নিরপত্তা আইন নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলের কাছ থেকে আমরা তাদের উদ্বেগের কথা শুনেছি৷ সংবাদমাধ্যম, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, প্রাতিষ্ঠানিক লোকজন – তাঁদের উদ্বেগ প্রত্যক্ষ করেছি৷'' তিনি বলেন, ‘‘আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা বাংলাদেশের আইনমন্ত্রীর কাছে আইনটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি৷ আমাদের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে৷ আমাদের জাননো হয়েছে, আইনটি এখনো সংশোধনের সুযোগ আছে৷ সেটা আমাদের কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছে৷ আমরাও মনে করি, আইনটি এখনো পরিবর্তনের সুযোগ আছে৷ আমার মনে হয়, এই আইনটি নিয়ে কী করা হচ্ছে বাংলাদেশের সবাই তা লক্ষ্য রাখছেন৷ আমরাও খেয়াল রাখছি৷ বাকস্বাধীনতা, মুক্ত গণমধ্যম এখন বিশ্ব মূল্যবোধের অংশ, যা এখানেও নিশ্চিত করা প্রয়োজন৷''

রেন্সজে তেরিংক বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সুসম্পর্ক অনেক দিনের৷ আমরা দীর্ঘদিনের উন্নয়ন সহযোগী৷ ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্কও অনেক গুরুত্বপূর্ণ৷ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় গন্তব্য ইউরোপ৷ আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কও অনেক ভালো৷ আমরা একসঙ্গে মানবাধিকার, সুশাসন, উন্নয়ন, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ কাজ করি৷ আমাদের আরো অনেক কিছু করার আছে৷ আমরা এরই মধ্যে একসঙ্গে অনেক সময় পার করেছি৷''

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চমৎকার৷ আরো অনেকক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে৷ আমরা আশা করি, বাংলাদেশ তার স্থিতিশীলতা বজায় রেখে আরো সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য