1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংস্কৃতি বাঁচাতে পদক্ষেপ

১০ জুলাই ২০১২

আফগানিস্তানের নাম উঠলেই এখন যুদ্ধের কথা চলে আসে৷ অথচ একসময় শিল্প-সাহিত্যে সমৃদ্ধ ছিল দেশটি৷ আর তালেবান আমলে গান নিষিদ্ধ থাকলেও এবার তারা একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে, যেখানে কবিতাকে গানের মতো করে গাওয়া হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/15Uk1
The pictures show a music show in Herat Province of Afghanistan. This show was held to celebrate the opening of Herat Music Museum.. The photos have been taken by our colleage Sharafyar on 15.06.12 in Herat Province. All rights belong to Deutsche Welle. Tag word: Afghanistan,Kaltur , Music
ছবি: DW

গত কয়েক দশক ধরে আফগানিস্তানের নড়বড়ে অবস্থার সুযোগে তাদের নামকরা অনেক কবি-সাহিত্যিককে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে ইরান - এমন মন্তব্য দেশটির তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জালাল নুরানি'র৷

ফার্সি সাহিত্যের সবচেয়ে সেরা কবি বলে মনে করা হয় রুমি'কে৷ আফগানিস্তানে তিনি পরিচিত মাওলানা জালাল-উদ-দিন বলখি নামে৷ আর ইরানে পরিচিত ‘মেভলেভি' নামে৷ তবে বাইরের বিশ্বের কাছে তিনি রুমি নামেই পরিচিত৷

রুমি একসঙ্গে আফগানিস্তান, ইরান আর তুরস্কের জাতীয় কবি৷ অর্থাৎ তিন দেশই রুমিকে তাঁদের কবি বলে মনে করে৷ অথচ রুমি'র জন্ম যেখানে সে জায়গাটা পড়েছে বর্তমান আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে৷ তবে নিজ পরিবার নিয়ে তুরস্কে বাস করছেন তিনি৷ সেখানেই রচনা করেছেন এবং করছেন তাঁর বহু সেরা সাহিত্য-কর্ম৷

এই দুই দেশের বাইরেও ইরান মনে করে রুমি তাদের কবি৷ রাজধানী তেহরানের দেয়ালে কিংবা স্কুলের পাঠ্য বইয়ে তথা ইরানি সাহিত্যের পরতে পরতে জড়িয়ে আছে রুমি'র অবদান৷

Die Musiker von Rah-e-Sabs, Shakespeare Afghanistan Rah-e-Sabs Aufnahmedatum: 2012 Aufnahmeort: Neuss Copyright: Proclassics
ছবি: Proclassics

রুমি'কে নিয়ে এই টানাটানি প্রসঙ্গে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়ামিন বলছেন, ‘‘রুমি আফগানিস্তানের কোথায়, কবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই প্রমাণ আমাদের কাছে আছে৷ এইসব নিয়ে আমরা যখন ইরানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে যাই তখন তাঁরা বলেন যে, রুমি যখন জন্মেছিলেন, সেই ত্রয়োদশ শতকে, তখন ইরান আর আফগানিস্তান এক অঞ্চল ছিল৷ তাই রুমি ইরানেরও কবি৷''

পাকিস্তানকে নিয়েও এমন আশঙ্কা অনেক আফগানের৷ তাইতো সম্প্রতি বিংশ শতাব্দির সেরা আফগান কবি ওস্তাদ খলিলুল্লাহ খলিলি'র মরদেহ পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এ সম্পর্কে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ও উর্দু বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হুসাইন ইয়ামিন বলেন, ‘‘খলিলি আমাদের কবি৷ তাই পাকিস্তানের পেশওয়ারে থাকা তাঁর মরদেহ আমরা নিয়ে এসেছি৷ খলিলি তাঁর জীবনের শেষ কয়েকটা বছর পাকিস্তানে কাটিয়েছেন বলে ভবিষ্যতে কেউ তাঁকে পাকিস্তানের বলে দাবি করুক, এটা আমরা চাই না৷''

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করেছে তালেবান জঙ্গি গোষ্ঠী৷ সেসময় গান লেখা, সুর করা, গাওয়া এবং শোনা ছিল নিষিদ্ধ৷ তবে কেউ চাইলে কবিতাকে গানের মতো গাইতে পারতো৷

মজার ব্যাপার, তালেবান গোষ্ঠী কিন্তু নিজেও এভাবে কবিতার ব্যবহার করে থাকে৷ তারা মনে করে, নতুন কর্মী আকর্ষণ ও পুরনো সদস্যদের চাঙা করে রাখতে কবিতাকে কাজে লাগানো যায়৷ আর তাই, এ বছরের শুরুতে তারা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করেছে, যেখানে এধরণের কবিতা গান আকারে শুনতে পাওয়া যায়৷

জেডএইচ / ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য