সকলে উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত নন
২৮ আগস্ট ২০১৫" রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির দৃষ্টিকোণ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশ্বের মুখ্য এলাকাগুলির মধ্যে পড়ে৷
" ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদেশগুলি এই নীতিতে বিশ্বাস করে যে, যারা গৃহযুদ্ধ বা রাজনৈতিক নিপীড়নের সম্মুখীন হচ্ছেন, তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া উচিত৷
" কিন্তু ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা যে পর্যায়ে পৌঁছচ্ছে, তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ এ বছর প্রায় দশ লক্ষ উদ্বাস্তু ইউরোপে আসবেন, বলে অনুমান করা হচ্ছে৷
" সকলে এই উদ্বাস্তুদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত নন৷ অভিবাসন বিরোধী গোষ্ঠীরা জার্মানিতে উদ্বাস্তুদের বিভিন্ন অভ্যর্থনা কেন্দ্র ও আবাসনে অগ্নিসংযোগ করেছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল স্বয়ং একটি উদ্বাস্তু আবাসন পরিদর্শন করতে গিয়ে চরম দক্ষিণপন্থি বিক্ষোভকারীদের রোষের পাত্র হয়েছেন৷
" উদ্বাস্তুদের সঙ্গে উগ্র ইসলামপন্থিরাও ইউরোপে ঢুকবে, এই শঙ্কা ইউরোপ জুড়ে অভিবাসন বিরোধী মনোবৃত্তিকে উসকানি দিচ্ছে৷ সেই শঙ্কার কথা মনে রেখে জঙ্গি ইসলামপন্থিদের বিরুদ্ধে আরো কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে৷
" অপরদিকে ইউরোপীয় নেতৃবর্গকে মনে রাখতে হবে যে, বাস্তবিক শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়াটা একটা নৈতিক কর্তব্য৷
" তার একটা সুবিধাও আছে৷ ইউরোপের জনসংখ্যা কমছে, যার ফলে মহাদেশের অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব ক্ষুণ্ণ হতে পারে৷
" তবে বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তু আসার ফলে ইউরোপকে শীঘ্র সিদ্ধান্ত নিতে হবে, শরণার্থীদের মধ্যে কে রাজনৈতিক আশ্রয় পাবার উপযোগী এবং কে নয়৷
" তথাকথিত নিরাপদ, অর্থাৎ ঝুঁকিবিহীন দেশ থেকে যারা এসেছেন, তাদের শীঘ্র ফেরৎ পাঠাতে হবে৷
" অপরদিকে যারা ইরাক, সিরিয়া অথবা আফগানিস্তানের মতো গৃহযুদ্ধ পীড়িত দেশ থেকে আসছেন, তাদের যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাজে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে, কেননা তাদের শীঘ্র স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নেই৷ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুরের প্রক্রিয়া চলাকালীন বছরের পর বছর উদ্বাস্তুদের রিফিউজি ক্যাম্পে আটকে রাখার কোনো মানে হয় না৷
" সবচেয়ে বড় কথা, তাদের যথাশীঘ্র ওয়ার্ক পারমিট দেয়া উচিত৷
" অ্যামেরিকা তথা পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন জরিপ থেকে দেখা গেছে, যে সব উদ্বাস্তুরা অভিবাসী হওয়ার সুযোগ পান, তারা কর এবং স্বাস্থ্যবীমা, অবসরভাতা ইত্যাদির অনুদানের মাধ্যমে সে'দেশের অর্থনীতি ও প্রশাসনে একটা বড় অবদান রাখেন৷