সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যু বেড়েছে
গত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্বজুড়েই মৃত্যু ১ লক্ষ থেকে বেড়ে ১৩ লক্ষ ৫০ হাজার হয়েছে৷ অর্থাৎ রাস্তায় প্রতি ২৪ সেকেন্ডে গড়ে একজন প্রাণ হারাচ্ছেন৷ ডাব্লিউএইচও-র প্রতিবেদন জানাচ্ছে এই তথ্য৷
ভয়াবহ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)- র সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিশ্বের সকল মৃত্যুর এক চতুর্থাংশই ঘটে সড়ক দুর্ঘটনায়৷ মূলত পথচারী এবং সাইকেলআরোহীরাই বেশি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন৷
প্রয়োজন শুধু আন্তরিকতার
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার বৃদ্ধিকে ‘‘খুবই দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য’’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ডাব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আডহানোম গিব্রেইয়াসেস৷ জেনেভায় তিনি আরো বলেন, ‘‘জীবনকে গতিশীল রাখার জন্য এই মূল্য অনেক বড়৷ এর পক্ষে কোনো অজুহাত নেই, চেষ্টা করলেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে যা এরই মধ্যে প্রমাণিত৷’’
আশার কথা
ডাব্লিউএইচও জানাচ্ছে, সামগ্রিকভাবে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা এবং গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি হলেও উচ্চ এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে সড়ক নিরাপত্তার কিছুটা উন্নতি ঘটেছে এবং এমন দেশগুলোতে মৃত্যুহার স্থিতিশীল রয়েছে৷
সরকারকে আরো উদ্যোগী হতে হবে
দুর্ঘটনা এড়াতে দেশের সরকারগুলোকে আরো উদ্যোগী হবার আহ্বান জানিয়েছেন ডাব্লিউএইচও-র মহাপরিচালক৷ ডাব্লিউএইচও রাস্তায় নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বনের কথা বলেছে, যার মধ্যে গাড়ি চালানোর সময় অ্যালকোহল পান না করা, সিটবেল্ট বাঁধা, মোটরসাইকেল চালকেদের হেলমেট পরার মতো বিষয়গুলোও রয়েছে৷এছাড়া রাস্তায় চলাচলের সময় বিভিন্ন ঝুঁকি সম্পর্কে আরো সতর্ক হওয়ার কথাও বলেছে ডাব্লিউএইচও৷
দুর্বল আইনব্যবস্থা
ডাব্লিউএইচও উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, একশ’রও বেশি দেশে যেখানে পাঁচ দশমিক তিন বিলিয়ন জনসংখ্যার বাস, সেসব দেশে রাস্তায় সন্তোষজনক নিরাপত্তা আইন নেই৷
বাংলাদেশের অবস্থা
বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন৷ এর বাইরেও হয়ত অনেক দুর্ঘটনাই ঘটে যেগুলো হিসেবে আসে না৷
ভারতের অবস্থা আরো ভয়াবহ
ভারতে প্রতিদিন গড়ে চারশ’ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন৷এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ জোরে গাড়ি চালানো, হেলমেট না পরা, সিটবেল্ট না বাঁধারমতো বিষয়৷ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই এমন প্রবণতা দেখা যায়৷
জার্মানিতে মৃত্যুর হার কম
অনেক দেশের চেয়ে জার্মানিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম, লাখপ্রতি বছরে মাত্র চার দশমিক এক জন৷