1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভালো বন্ধুরাষ্ট্র জার্মানি

৮ ডিসেম্বর ২০১১

২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন সেসময়কার জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ৷ দীর্ঘ ২৫ বছর পর জার্মান কোনো রাষ্ট্রনেতার এই সফর স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের মানুষের মনে জাগিয়েছে জার্মানি সম্পর্কে উৎসাহ, উদ্দীপনা৷

https://p.dw.com/p/13ON5
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নানছবি: DW

প্রেসিডেন্ট ভুল্ফ-এর সফরসঙ্গী ছিলেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষৎকারে তিনি বললেন, ‘বাংলাদেশ একসময় ব্রিটিশ ভারতের অংশ ছিল৷ তখন থেকেই বাংলাদেশের মানুষ জার্মানি সম্পর্কে অবগত থেকেছে এবং এখনও তাদের মধ্যে উৎসাহ আছে জার্মানি সম্পর্কে জানার৷ এছাড়া, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইউরোপের যে দেশটি প্রথম তাকে স্বীকৃতি দেয়, সেটা ছিল জার্মানি৷ জার্মানি তখন দু'ভাগে বিভক্ত ছিল এবং দু'টো অংশই প্রথম দু'মাসের মধ্যে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়৷ ফলে বাংলাদেশের মানুষ জার্মানির প্রতি চিরকৃতজ্ঞ৷'

গত অক্টোবর মাসে কয়েকদিনের জন্য জার্মানি সফর করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এবং তারপর মাত্র ৩৮ দিনের মাথায়, জার্মান প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর করলেন৷ এতো অল্প সময়ে এহেন দু'দুটো উচ্চ-পর্যায়ের সফরে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিক্রিয়া কি? উত্তরে রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান জানান, ‘বাংলাদেশের মানুষ খুব খুশি হয়েছে দেখে যে জার্মান রাষ্ট্রপতি নিজ উৎসাহে সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে মিশেছেন, ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখেছেন, সাভারের স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেছেন, এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাদুঘরটিও পরিদর্শন করেছেন৷ মানুষ মনে করছে, ইতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে যেভাবে ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের ভালো সম্পর্ক রয়েছে, জার্মানির সঙ্গে সম্পর্কও তার চেয়ে কোনো অংশে কম হবে না৷ ভবিষ্যতে ব্যবসা-বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং রাজনৈতিক বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়ে এ সম্পর্ক একটি অন্য মাত্রায় পৌঁছাবে৷'

Christian Wulff in Dhaka
ঢাকায় জার্মান প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফছবি: Focus Bangla

জার্মান প্রেসিডেন্ট সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ সমাজের ওপর৷ এছাড়া, দেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র, নারীর ক্ষমতায়ন, ধর্মীয় সাম্য, দু'দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরির্তন এবং ক্ষুদ্র ঋণসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি, জানান রাষ্ট্রদূত মান্নান৷ তিনি বলেন, ‘এর ফলে প্রথমত দুই দেশের মধ্যে সামগ্রিকভাবে যে বাণিজ্য, বর্তমানে যেটা প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার – সেটা তো বাড়বেই৷ পাশাপাশি জার্মানি থেকে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করার ব্যাপারে মানুষ আগ্রহী হবে৷ এর প্রধান কারণ, দু'দেশের মধ্যে আস্থা এবার আরো বেড়েছে৷'

Christian Wulff mit Sheikh Hasina
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মান প্রেসিডেন্টছবি: DW

তাহলে ঠিক কোন দিকে যেতে চলেছে এ দুটি দেশের মধ্যকার সম্পর্ক? মাননীয় রাষ্ট্রদূতের কথায়, ‘আসলে জার্মানরা যদি কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে, সেই বন্ধুত্বকে ধরে রাখতে, আরো স্থিতিশীল করতে তারা প্রাণপণ চেষ্টা করে৷ সেটার একটা প্রমাণ এই দুটি সফরের মধ্যে দিয়ে হয়েছে৷ নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে৷ বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেখছে জার্মানি৷ আর বাংলাদেশেরও উচ্চশিক্ষা, প্রযুক্তি, ব্যবসা-বণিজ্য, দর্শন, সংস্কৃতি – ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দেশ জার্মানির কাছে এসব ক্ষেত্রে অনেক কিছু শেখার আছে৷ তাই বাংলাদেশ-জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর উপলক্ষ্যে আমি খুবই আশাবাদী যে এবার, এ দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে এবং আমরা একে অন্যের থেকে অনেক কিছু পাবো৷'

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য