সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় জার্মানিতে কড়া নিরাপত্তা
১৮ নভেম্বর ২০১০হামলার আশঙ্কা ক্রিসমাস মার্কেটে
জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়ার সুনির্দিষ্ট হামলার ষড়যন্ত্রের কথা জানিয়েছেন বুধবার৷ তবে কোথায়, কখন, কিভাবে এই হামলা হতে পারে সে বিষয়ে কোন ইঙ্গিত তিনি দেননি৷ জার্মান গণমাধ্যম অবশ্য দাবি করছে, ক্রিসমাস মার্কেটে কিংবা এধরনের জনপ্রিয় কোন আয়োজনে হামলার আশঙ্কা রয়েছে৷ এছাড়া, ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের সন্ত্রাসী হানার মতো একই ধরনের হামলার জার্মানিতে হবার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা৷
আল-কায়দা'র তৎপরতা
দৈনিক টাগেসস্পিগেলের এক প্রতিবেদনের বরাতে বার্তাসংস্থা ডিপিএ ও এএফপি জানাচ্ছে, গত সপ্তাহে মার্কিন গোয়েন্দারা জার্মান গোয়েন্দাদেরকে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার কথা জানিয়েছেন৷ এই হামলা চালাতে দুই থেকে চারজন সম্ভাব্য জঙ্গিকে ব্রিটেন এবং জার্মানিতে পাঠাচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়দা৷ মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, আক্রমণকারীরা নভেম্বরের ২২ তারিখ ভারত কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে জার্মানিতে প্রবেশ করতে পারে৷
পুলিশ অবশ্য ইতিমধ্যেই পাকিস্তান, ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে জার্মান ভিসা প্রার্থীদের কাগজপত্র পরীক্ষা শুরু করেছে৷
ইলিয়াস কাশ্মীরি
বার্তা সংস্থাগুলো মূলত টাগেসস্পিগেলের প্রতিবেদনের বরাতেই সব খবর দিচ্ছে৷ সেখানে সন্দেহভাজন জঙ্গি হিসেবে উঠে এসেছে মোহাম্মদ ইলিয়াস কাশ্মীরি'র নাম৷ এবছরের শুরুর দিকে ভারতের পুনের একটি জার্মান বেকারিতে হামলার পেছনে এই আল-কায়দা সন্ত্রাসী জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়৷ সেই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল ১৭ জন৷
হামলা ঠেকাতে সরকারের উদ্যোগ
সরকারের উদ্যোগ ব্যাপক৷ জার্মানির বিমানবন্দর এবং ট্রেন স্টেশনগুলোতে মেশিনগানসহ টহল দিচ্ছে পুলিশ৷ কেন্দ্রীয় ক্রিমিন্যাল পুলিশ ইতিমধ্যে সম্ভাব্য জঙ্গিদের টেলিফোনে আড়িপাতা এবং ই-মেলের তত্ত্বতালাশ শুরু করেছে৷ তাছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়ার জানিয়েছেন, নিরাপত্তার খাতিরে নেপথ্যেও চলছে অনেক তৎপরতা৷ যা জনগণ দেখতে পাবে না৷
মন্ত্রী অবশ্য জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, দুশ্চিন্তার কারণ থাকলেও আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার