সন্ত্রাসীরা পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র সকলের শান্তিই বিনষ্ট করতে চায়: ক্লিন্টন
২৯ অক্টোবর ২০০৯ক্লিন্টন তাঁর তিন দিনের পাকিস্তান সফরের দ্বিতীয় দিনে লাহোরে এই মন্তব্য করেন৷
ক্লিন্টন পাকিস্তানে বুধবার পা দিয়েই বলেছিলেন, তাঁর এই সফর সন্ত্রাসবাদের বিরূদ্ধে যুদ্ধরত পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্রের যে মধ্যে একটি নতুন সম্পর্ক তৈরি করবে৷ তাছাড়া এখন দুটি দেশের সম্পর্কের মধ্যে ‘বিশ্বাসের ঘাটতি' রয়েছে, ক্লিন্টনের এই সফর সেই বিশ্বাসের উপরও খুবই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই৷
ক্লিন্টন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বর্তমান যে প্রচেষ্টা তার প্রশংসা করলেও বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি পত্রিকার সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাতকালে বলেন, এটি বিশ্বাস করা খুবই কঠিন যে পাকিস্তান সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্তেও তারা তালেবান নেতাদের ধরতে পারছে না৷ তিনি বলেন,‘‘ আমি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সব ধরণের অভিযোগ শুনতে রাজি আছি৷ কিন্তু আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই৷ কারণ এখানে পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েরই লক্ষ্য শান্তি প্রতিষ্ঠা৷'' হিলারি ক্লিন্টন আরো বলেন, যুদ্ধ হয়তো পাকিস্তানের মাটিতে হচ্ছে, কিন্তু এটি পাকিস্তানের একার যুদ্ধ নয়৷ এই সন্ত্রাসীরা পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র সকলের শান্তিই বিনষ্ট করতে চায়৷ পাকিস্তান হয়তো যুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে আছো৷ কিন্তু আমরাও তোমাদের সঙ্গে আছি৷
বৃহস্পতিবার সকালে ক্লিন্টন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের শহর লাহোরের ঐতিহাসিক গভর্মেন্ট কলেজ ইউনিভার্সিটিতে যান৷ সেখানে তিনি ছাত্রদের প্রশ্নের সরাসরি জবার দেন৷ তার কাছে ছাত্রদের প্রশ্ন ছিল, বিতর্কিত ড্রোন হামলা এবং পাকিস্তানকে সাত বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে ‘কেরি- লুগার' বিল পাশ করেছে সে বিষয়ে৷ এছাড়াও ছাত্ররা অ্যামেরিকার এই উচ্চ পার্যায়ের প্রতিনিধির কাছে জনাতে চান, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে এমনকি প্রতিশ্রুতি দেবে যার করণে পাকিস্তান মার্কিন প্রশাসনের প্রতি বিশ্বাস আনবে৷ এবং অতীতের মতো আর কোন নেতিবাচক ঘটনা যে ঘটবেনা তারই বা নিশ্চয়তা কি? ক্লিন্টন তার উত্তরে জানান, ‘‘আমি জানি দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাসের ঘটতি আছে৷ অল্প কিছু মানুষ কখনোই দুই দেশের আপামর জনসাধারণের সম্পর্ক কেমন হবে তা নির্ধারণ করতে পারে না৷''
সন্ত্রাসীরা সংখ্যার দিক দিয়ে কম হতে পারে কিন্তু তাদের বিরূদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এই আহ্বনও ছিল তাঁর বক্তব্যে৷
তিনি বৃহস্পতিবার লাহোরে পাকিস্তান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বাদশাহি মসজিদ, জাদুঘরসহ নানা ঐতিহাসিক স্থান সফর করেন৷ দিনের শেষ ভাগে তিনি পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ সামরিক এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গেও দেখা করেন৷
প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার