সন্ধ্যা ছয়টার পর বের হতে মানা
১০ এপ্রিল ২০২০এই নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়৷
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে শুক্রবার এক আদেশ জারি করে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানায় বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷
ওই আদেশপত্রে কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য বিশেষ যে কয়েকটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো:
>> করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে৷
>> অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না৷
>> সন্ধ্যা ছয়টার পর কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না৷ এ নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
>> এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত করা হলো৷
>> বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে৷
তবে, জরুরি পরিষেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না৷
এছাড়া, কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে৷ জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে৷ প্রয়োজনে ঔষধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে৷
মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস সার্ভিস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে৷ জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বলেও আদেশে বলা হয়৷
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ শুরু হওয়ায় প্রেক্ষিতে শুক্রবার সরকার চতুর্থ দফায় ছুটি বাড়িয়েছে৷
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নতুন ছুটির আদেশে বলা হয়, আগের ছুটির ধারাবাহিকতায় ১৫ ও ১৬ এপ্রিল এবং ১৯ থেকে ২৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হল৷ সাধারণ ছুটির সময় আগামী ১৭-১৮ এপ্রিল এবং ২৪-২৫ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি সংযুক্ত থাকবে৷
এসএনএল/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)