সব কারখানায় ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ করার নির্দেশ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০মঙ্গলবার এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়৷
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান৷ তিনি জানান, ২০০৬ সালে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার করার জন্য আইন করা হয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি৷
এদিকে, বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই আইনজীবী বলেছেন, সরকার পরিচালিত-নিয়ন্ত্রিত বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, হাসপাতাল, শপিং মল, বিমানবন্দর, বাস স্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশনের মতো জনসমাগমস্থলে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ স্থাপনের পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে গতবছর একটি রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট৷
নয় মাস বয়সি এক শিশুর মায়ের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছর ২৭ অক্টোবর ওই রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট৷
আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, ‘‘রুল জারির পর সম্প্রতি রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্টেশন, বিমানবন্দরে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের কাজ চলছে৷ কিন্তু গার্মেন্টসহ দেশের কল-কারখানাগুলোতে এ ব্যাপারে তেমন কোনো অগ্রগতি আমরা দেখছি না৷ অথচ গার্মেন্ট সেক্টরে কাজ করা নারী কর্মীদের অধিকাংশের বয়স ১৭ থেকে ৩১ বছর৷ তাদের বেশিরভাগেরই শিশু সন্তান রয়েছে৷’’
তিনি বলেন, গার্মেন্টস, কলকারখানায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার বা বেবি কেয়ার স্থাপনের বিষয়ে নীতিমালা ও আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও কাজ হচ্ছে না৷ ‘‘ফলে সম্পূরক আবেদন করে নির্দেশনা চেয়েছিলাম,’’ বলে জানান তিনি৷
জেডএইচ/এসিবি (বিডিনিউজ, ইউএনবি)