সব পর্যটক ফ্রান্সে যায় কেন?
প্রতিবছর আশি মিলিয়ন পর্যটক ফ্রান্স ভ্রমণে যান৷ ইউরোপের এই দেশটির প্রতি পর্যটকদের এত আকর্ষণ কেন দেখে নিই চলুন৷
প্যারিস
সেইন নদীর তীর ধরে হেঁটে যাওয়া, ল্যুভর মিউজিয়ামে মোনালিসাকে দেখা কিংবা আইফেল টাওয়ার থেকে প্যারিস উপভোগ - সবই সম্ভব ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে৷ সারাদিন শহর দেখা শেষে মনের মতো কোনো ক্যাফে কিংবা বারে সন্ধ্যাটা কাটাতে পারেন৷
প্রভেন্স
লাভেন্ডার মাঠের সুঘ্রান, মধ্যযুগীয় পার্বত্য গ্রাম আর রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ সবই মিলবে ফ্রান্সের প্রভেন্সে৷ গ্রীষ্মে এই রাজ্যটির রূপ এতই মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে যে, পিকাসো ফান গখের মতো শিল্পীরাও মুগ্ধ হয়ে এখানে থেকেছেন৷ ফ্রান্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ছুটি কাটানোর স্থানটিতে বছরে ত্রিশ মিলিয়ন পর্যটন আসেন৷
ক্যুঁ দ্য জ্যুঁ
পরিপূর্ণ সূর্যের দেখা পেতে অনেকেই ফ্রান্সের এই ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে আসেন৷ ক্যুঁ দ্য জ্যুঁ-তে বিলাসী পর্যটকরা আসেন, যাদের জন্য রয়েছে সাদা সমুদ্রতট, অদ্ভূত নানা ফুল আর সুন্দর সব প্যালেস৷
আল্পস পর্বতমালা
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত অঞ্চলে আল্পস পর্বতের অবস্থান৷ সেখানকার ম্যঁ ব্লঁ পর্বতাঞ্চলে পর্যটকদের ভীড় হয় সবথেকে বেশি৷ ম্যঁ ব্লঁ পর্বতে আল্পসের সবচেয়ে উঁচু শিখরের অবস্থান, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪,৮১০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত৷
পিয়েরেনে
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে স্পেনের সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চল পিয়েরেনে৷ সেখানকার ক্যোল দ্যুঁ বিস্কে রাখা এই অস্বাভাবিক আকারের সাইকেলগুলো মূলত এক বার্তা দিচ্ছে৷ তা হচ্ছে, ১৯৫১ সাল থেকে এই গিরিপথটি ত্যুর দ্যঁ ফ্রঁসে সাইকেল রেসের অংশ৷ যারা এই অবধি উঁচুতে সাইকেল চালিয়ে উঠতে পারেন, তারা সত্যিই ফিট৷ হাইকারদের বিশেষ পছন্দ এই এলাকা৷
ল্যুঁয়ার ভ্যালে
ল্যুঁয়ার ভ্যালে হচ্ছে ফ্রান্সের সবচেয়ে লম্বা নদী৷ এটি প্রায় ১,০২০ কিলোমিটার লম্বা, অর্থাৎ ম্যাসিভ সেন্ট্রাল থেকে আটলান্টিকে গিয়ে মিশেছে নদীটি৷ নদীটির তীর ধরে যে পরিমাণ দুর্গ রয়েছে, তা ইউরোপের অন্য কোথাও দেখা যাবে কিনা সন্দেহ৷
ব্রুতানিঁ
আটলান্টিকের পাড়ে ছুটি কাটাতে আগ্রহীদের এক প্রিয় শহর ব্রুতানিঁ৷ উপকূলবর্তী এই শহরটির এক রুক্ষ কিন্তু সুন্দর রূপ রয়েছে৷ এখানকার আবহাওয়া হরহামেশাই বদলে যায়৷