সরকার গড়ার প্রস্তুতি
৬ মার্চ ২০১৮সবকিছু ঠিকমতো চললে আগামী ১৪ই মার্চ চতুর্থবারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ সে দিনই মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদেরও শপথ নেওয়ার কথা৷ গত সপ্তাহেই ম্যার্কেল সিডিইউ দলের মন্ত্রীদের তালিকা পেশ করেছিলেন৷ সোমবার বাভেরিয়ার সিএসইউ দলও তাদের বরাদ্দ পদগুলির জন্য তালিকা প্রকাশ করেছে৷ এবার সবার নজর এসপিডি দলের দিকে৷ চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে বলে দলের এক নেতা জানিয়েছেন৷ বেশ কয়েকটি পদে নাম স্থির করা হলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে৷
এদিকে সরকারে যোগ দেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে স্বস্তি আনলেও কিছুতেই জনসমর্থন ফিরে পাচ্ছে না এসপিডি দল৷ সর্বশেষ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী মাত্র ১৫ শতাংশ ভোটার এই দলের প্রতি আস্থা রাখেন৷ অর্থাৎ, গত সপ্তাহের তুলনায় ০ দশমিক ৫ শতাংশ সমর্থন হারিয়েছে এসপিডি৷
এই দলের পক্ষে অস্বস্তির আরেকটি কারণ বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েলের বিপুল জনপ্রিয়তা৷ এসপিডি দলের মধ্যে কোণঠাসা এই নেতাকে নতুন সরকারেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান প্রায় ৫৫ শতাংশ ভোটার৷ এসপিডি সমর্থকদের মধ্যে ৭৪ শতাংশেরও সেটাই ইচ্ছা৷ এসপিডি নেতৃত্বের পক্ষে সেই ইচ্ছা মেনে নেওয়া এই মুহূর্তে কার্যত অসম্ভব৷ এদিকে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবিরের প্রতি ভোটারদের আস্থা সামান্য বেড়ে ৩৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে৷
জার্মানির নতুন মন্ত্রিসভায় অর্ধেকই নারী হতে পারেন, এমন সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠলেও সিএসইউ দল সেই পথে যাচ্ছে না৷ ম্যার্কেল নিজের দলের মন্ত্রী তালিকায় সাম্য এনেছেন৷ এসপিডিও সেরকম ইঙ্গিত দিয়েছে৷
সরকার গঠনের আগেই দুই শিবিরের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ সিডিইউ সংসদীয় দলের উপনেতা রাল্ফ ব্রিংকহাউস এসপিডি দলকে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, গত সরকারের কার্যকালে অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে বাজেট ঘাটতি দূর করে যে সাফল্য অর্জন করেছেন, নতুন সরকারকেও তা ধরে রাখতে হবে৷ অতএব, ইউরোপসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কোয়ালিশন চুক্তির বাইরে গিয়ে কোনো বাড়তি ব্যয় মেনে নেওয়া হবে না৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)