সবচেয়ে ঠান্ডা আর গরমের বছর ২০১০
১২ ডিসেম্বর ২০১০জার্মানিতে গত কয়েকদিন সবার মুখে একটিই প্রশ্ন শোনা গেছে,‘আচ্ছা আজকে কি বরফ পড়বে? আজ রাতে?' ঠান্ডা পড়েছে ঠিকই৷ একটু যেন আগেভাগেই৷ তবে একেবারে হাড়কাঁপানো নয় এখনো৷ তাতেই এই অবস্থা৷ তবে শীতকালের কথা বলার আগে চলুন নেওয়া যাক একটু উষ্ণ ছোঁয়া৷
এ বছরের গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ছিল গত ১৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি৷ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮৫০ সাল থেকে তাপমাত্রার দিকে নজর রাখা হচ্ছে৷ এ মাসেই চলছে মেক্সিকোর কানকুনে আবহাওয়া ও পরিবেশ নিয়ে জাতিসংঘের পরিবেশ সম্মেলন৷ তার ঠিক আগে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন এ বছর গ্রীষ্মকালের উচ্চ তাপমাত্রার কথা উল্লেখ করা হয়৷
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মহাসচিব মাইকেল জারো জানান, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে উষ্ণতার দিকে৷ তিনি আরো বলেন, ২০১০ সালের গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল৷ ১৯৯৮ এবং ২০০৫ সালের গ্রীষ্মকালের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা তাই দেখবো৷ বিশ্বতাপমাত্রার দিকে নজর দিলে আমরা দেখবো যে, তাপমাত্রা ২০১০ সালে বেড়েছিল শূন্য দশমিক পাঁচ ডিগ্রি৷ ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বছরে গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷
এ কারণেই জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে যে ২০১০ সালের গ্রীষ্মকালেই হয়তো সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে৷ তবে ২০১১ সালের শুরুতে প্রকাশ করা হবে একটি প্রতিবেদন৷ সেখানেই স্পষ্টভাবে সবকিছু তথ্য তুলে ধরা হবে৷
শুধু গ্রীষ্মকাল নয়, ২০১০ সালের শীতকালে ঠান্ডা পড়বে সবচেয়ে বেশি৷ ইতিমধ্যেই জার্মানির মানুষ কিছুটা হলেও তা টের পেয়েছে৷ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বার্লিনের মানুষ ঘুমাতে গিয়েছিল নিশ্চিন্ত মনে৷ ঘুম থেকে উঠে দেখে ৯ সেন্টিমিটার তুষার জমে আছে বাড়ির সামনে, রাস্তায়৷ সারা দেশে তাপমাত্রা নেমে আসে মাইনাস ছয়েরও নীচে৷
গ্রীষ্মকাল এবং শীতকাল দুদিকেই তাপমাত্রা তীব্রতর হচ্ছে৷ আবহাওয়া এবং পরিবেশের পরিবর্তনের জন্যই তা হচ্ছে বলে জানান মাইকেল জারো৷ কানকুন সম্মেলনের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, যদি এখনই কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক