সবুজ ভূতের গ্রামে পর্যটকদের ঢল
ইস্ট চায়না সীর এক দ্বীপের একটি গ্রাম পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে৷ পরিত্যক্ত গ্রামটিকে প্রকৃতি সাজিয়েছে নতুন রূপে৷
পুরোপুরি দখল
‘স্লিপিং বিউটির’ রূপকথার মতোই ইস্ট চায়না সীয়ের শেংশান দ্বীপের পরিত্যক্ত জেলেদের গ্রাম হাইতুয়ান ছেয়ে গেছে সবুজ সতেজ উদ্ভিদে৷
প্রত্যন্ত দ্বীপ গ্রাম
একসময় দুই হাজারের মতো মানুষ, যাদের অধিকাংশই জেলে, এই প্রত্যন্ত গ্রামটিতে থাকতেন৷ সাংহাই থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হলেও দ্বীপ গ্রামটিতে যাতায়াত বেশ কঠিন ব্যাপার ছিল৷
চলে যান অনেক বাসিন্দা
গত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকে গ্রামটির বাসিন্দারা অর্থাভাবে অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেন৷ দুর্গম এলাকায় হওয়ায় সেখানে বসবাস ক্রমশ দুরূহ হয়ে যাচ্ছিল৷
প্রকৃতির হাতে ফিরে যাওয়া
এরপর প্রকৃতি ধীরে ধীরে গ্রামটি নিজের দখলে নিয়ে নিয়েছে৷ ফলে সবুজে ছেয়ে গেছে উপকূলের গ্রামটির ঘরবাড়ি৷
কিছু গ্রামবাসী রয়ে গেছেন
খুব অল্পসংখ্যক গ্রামবাসী অবশ্য গ্রামটিতে এখনো আছেন৷ কিন্তু তারা সংখ্যায় এত সীমিত যে প্রকৃতির আগ্রাসন রোখা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি৷ ২০১৮ সালে গ্রামটিতে পাঁচজন অবশিষ্ট ছিলেন বলে জানা গেছে৷ পানি এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়াই জীবন চলে তাদের৷
বদলে যাওয়া রূপ
স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠা চিরহরিৎ গাছ আর দ্রাক্ষালতা বদলে দিয়েছে গ্রামটির চিত্র৷ সবুজ সেই রূপ দেখতে সেখানে ভিড় করতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা৷
জনপ্রিয় ইন্সটাগ্রামে
আলোকচিত্রী এবং পর্যটকরা গ্রামটিকে ইন্সটাগ্রামে এক জনপ্রিয় স্পটে পরিণত করেছেন৷ অন্য অনেক পরিত্যক্ত গ্রামে ঘোরা কঠিন হলেও হাইতুয়ানের পরিস্থিতি ভিন্ন৷ গ্রামটির সাবেক বাসিন্দারা এখন সেখানে পর্যটকদের ভ্রমণের আয়োজন করে অর্থ উপার্জন করছেন৷
পর্যটকদের স্বাগতম
দ্বীপ কর্তৃপক্ষ অবশ্য শুরুতে চেয়েছিলেন পরিত্যক্ত গ্রামটিকে পর্যটকদের নজর থেকে দূরে রাখতে৷ কিন্তু তাদের সেই মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে৷ এখন শুধু গ্রামটি দেখাই নয়, পর্যটকেরা যাতে রাতে থাকতে পারেন সেই আয়োজনও করা হয়েছে দ্বীপটিতে৷
জঙ্গল গ্রাম
মানুষের ফিরে আসা সত্ত্বেও গ্রামটির নতুন রূপ যাতে নষ্ট না হয় সেই চেষ্টাও রয়েছে৷ কিন্তু তারপরও পর্যটকদের জন্য পথ করতে কিছু অংশ মাঝে মাঝে কুড়ালের কোপ পড়ে৷