দেখা যাচ্ছে সরকার খালেদার মুক্তির বা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷ আমাদের প্রশ্ন, তাহলে এতদিন ধরে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা কেন বললেন যে, এটা শুধু আইন-আদালতের ব্যাপর?
সরকারের এই সিদ্ধান্ত আমাদের আরো জানালো যে, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ফৌজদারি কার্যবিধি এতদিন কোথায় ছিল, লুকিয়ে?
যে মানবিকতার কথা বলা হচ্ছে তার উৎস বা কারণ কী? কেন এই মানবিকতা? মানবিক কারণে তার মুক্তির দাবি উঠছিল আগে থেকেই, তখন শোনা কেন হয়নি? আজ কেন শোনা হলো?
মানবিক কারণ যে বিবেচনা করা হয়েছে এর জন্যই কি সাধুবাদ পাওয়া উচিত? দেরিতে হলেও শুভবুদ্ধির কারণে?
আমরাও হয়তো তাই ভাবতাম৷ কিন্তু ছোট একটি জীবাণু আমাদের জীবনকে পাল্টে দিয়েছে৷ আমরা এখন পরষ্পর থেকে দূরে থাকার সংগ্রামে আছি৷ রাজনীতি বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, আমাদের ভাবনায় আছি কেবল আমরা৷
এ শীতল সময়ে ঠান্ডা মাথার সিদ্ধান্ত হয়তো আমাদের উষ্ণ বা উত্তপ্ত হওয়ার ইচ্ছাতেও রাশ টেনে রাখলো৷ আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল হিসেবে কতদিন মানুষের মনে টিকে থাকবে বলা মুশকিল, কিন্তু কৌশলী দল হিসেবে টিকবে বহুদিন৷
প্রিয় পাঠক, আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷