1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা শরণার্থী

২২ মে ২০১২

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্দশা বেড়েই চলেছে৷ তারা প্রতিনিয়ত সেনাবাহিনীর হাতে বিভিন্ন ধরণের অত্যাচারের শিকার হচ্ছে৷ ফলে অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে৷

https://p.dw.com/p/15026
ছবি: AP

আব্দুর রহিমকে অমানবিক কাজ করতে হত মিয়ানমারের সামরিক ক্যাম্পে৷ তাকে দিয়ে কঠিন কঠিন সব কাজ করিয়ে নিত সেনারা৷ পাঁচ বছর কাজ করার পর শেষ পর্যন্ত আব্দুর রহিম পালিয়ে যায়৷ সে প্রথমে পালিয়ে বাংলাদেশে যায়৷ এরপর ডিঙি নৌকায় করে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সমুদ্র পাড়ি দিয়ে চলে যায় মালয়েশিয়ায়৷

আঠার বছর বয়সী আব্দুর রহিম জানাল, ‘‘আমি কিছুতেই মিয়ানমারে আর থাকতে পারছিলাম না৷ আমরা স্কুলে যেতে পারতাম না৷ আমি অনেক চেষ্টা করেও অন্য কোথাও কাজ খুঁজে পাইনি৷'' আব্দুর রহিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং ধর্মে মুসলমান৷

শরণার্থী এবং মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছে যে, সরকার পরিবর্তনের পর নিয়ম কানুনে বিভিন্ন ধরণের শিথিলতার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল৷ তবে সবাই ধীরে ধীরে আস্থা হারিয়ে ফেলছে৷ কারণ সবই শুধু মুখে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন ঘটেনি৷

A Rohingya mother and her child in a makeshift camp in Teknaf
টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থীছবি: DW

আব্দুর রহিম কোন অবস্থাতেই মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায় না৷ তার মতে, সেখানে তার কিছু নেই, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার আশ্বাস নেই৷

জাতিসংঘের জরিপ অনুযায়ী মিয়ানমারে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বসবাস৷ তাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত রাখাইন এলাকায় থাকে৷ ধারণা করা হচ্ছে আরো প্রায় দশ লক্ষ রোহিঙ্গা বিভিন্ন দেশে নির্বাসিত জীবন যাপন করছে৷ তারা সবাই স্বেচ্ছায় নিজ দেশ ছেড়ে চলে গেছে৷

মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের দিয়ে জোর করে বিভিন্ন ধরণের অমানবিক কাজকর্ম করিয়ে নেয়া হতো৷ মিয়ানমারে তা ছিল রীতি৷ তারা সবসময়ই বিভিন্ন ধরণের বৈষম্যের শিকার হতো৷ মিয়ানমারের অনেক জায়গায় তাদের যাওয়া নিষেধ ছিল৷ নিজের দেশে তারা স্বাধীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে পারতো না৷ এমনকি মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পর্যন্ত দেয়নি৷ ফলে যে দেশেই তারা গিয়েছে তারা অবৈধভাবে গিয়েছে৷ অবৈধ অভিবাসী হিসেবে তারা থেকেছে এবং থাকছে৷

ব্যাংককের আরাকান প্রকল্প রোহিঙ্গাদের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছে৷ প্রকল্পের প্রধান ক্রিস লেওয়া আক্ষেপের সঙ্গে জানান, ‘‘রোহিঙ্গাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তনের কোন লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না৷ রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ এখনো অন্ধকার৷''

প্রতিবেদন: এএফপি / মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য