1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকারি চাকরিতে মেধায় নিয়োগ ৯৩%: আপিল বিভাগ

২১ জুলাই ২০২৪

সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩% নিয়োগ, মুক্তিযোদ্ধার কোটা ৩০% থেকে কমিয়ে ৫% করতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত৷ তবে নির্বাহী বিভাগ চাইলে এই কোটার হারে পরিবর্তন আনতে পারবে৷

https://p.dw.com/p/4iYD8
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে কারফিউ এবং সেনা টহল। ঢাকার ছবি।
রাজধানী ঢাকায় সক্রিয় রয়েছে সেনাবাহিনী৷ছবি: AFP

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির পর রোববার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ আসলো৷ রোববার প্রকাশিত প্রথম আলো পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণে শনিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ গত চার দিনে কমপক্ষে ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও লিখেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই পত্রিকাটি৷

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরেবিক্ষোভ, সংঘর্ষের মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়৷ বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও৷ এমনকি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের অনলাইন সংস্কারগুলোও হালনাগাদ করা হচ্ছে না৷ 

শুক্রবার রাত থেকে জারি হয় কারফিউ৷ তবে কারফিউ ভেঙে অনেক স্থানে প্রতিবাদকারীরা প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন৷

কারফিউয়ের বিরতিতে একটি রিকশায় দুই আরোহী
শুক্রবার রাত থেকে কারফিউ জারি হয়েছেছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP

২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে সরকার কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছিল৷ কিন্তু গত মাসে হাইকোর্ট কোটা পুনর্বহালের রায় দিলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়৷

একটি সরকারি আপিলের পরে সুপ্রিম কোর্ট সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে এবং পরবর্তীতে সাত আগস্টের জন্য নির্ধারিত শুনানি রোববার এগিয়ে আনতে সম্মত হয়৷

তবে কয়েকজন পর্যবেক্ষক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাগুলোকে জানিয়েছেন যে, সর্বোচ্চ আদালত কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলেও সরকারের প্রতি জনগণের ক্ষোভ অব্যাহত থাকতে পারে৷

গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ চরম আকার নেয়৷ সেই অর্থে কোনো বিরোধিতা ছাড়াই চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অনেকের মধ্যে এমনিতেই অসন্তোষ রয়েছে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষকরা৷

কোটা আন্দোলন সহিংস আকার ধারণ করার পর সেনা টহল ঢাকাশহ গোটা দেশের শহরগুলিতে
কয়েকজন পর্যবেক্ষক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাগুলোকে জানিয়েছেন যে, সর্বোচ্চ আদালত কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলেও সরকারের প্রতি জনগণের ক্ষোভ অব্যাহত থাকতে পারে৷ছবি: MUNIR UZ ZAMAN/AFP

সমালোচকেরা বলছেন, ২০০৯ সাল থেকে দেশ শাসন করা ৭৬ বছর বয়সি প্রধানমন্ত্রীর অনুগত পরিবারগুলো মূলত কোটার সুবিধা পায়৷

কোটার প্রতি ক্ষোভ মূলত তরুণ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে, মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও যারা চাকরির তীব্র সংকটের মুখে পড়েছেন৷

এদিকে, কারফিউ জারির পর সেনাবাহিনী বাংলাদেশের অনেক শহরে টহল দিচ্ছে৷ বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় সক্রিয় রয়েছে সেনাবাহিনী৷ কারণ সেখানেই নিরাপত্তা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষ হয়েছে৷

আরকেসি/এআই (এপি,এএফপি)