‘সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে টিকা সংকট’
৭ মে ২০২১তবে আওয়ামী লীগের সাংসদ ডা. হাবিবে মিল্লাত মনে করেন, টিকার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা ‘সুন্দর’ ছিল৷
ডয়চে ভেলের সাপ্তাহিক টক-শো ‘খালেদ মুহিউদ্দিন জানতে চায়'-এ এমন মত দেন আলোচকরা৷
সরকারের করোনা ভাইরাস বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন,টিকার বিষয়ে সরকারের ব্যর্থতা অত্যন্ত স্পষ্ট৷ চীনের সিনোভ্যাক'কে প্রথমেই ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল উল্লেখ করে, তিনি বলেন, এখন সরকার সিনোভ্যাক ও স্পুটনিক-ভি পেতে চাইছে৷ বিশ্বের অনেক দেশ ভ্যাকসিনে পেতে নানা সুযোগ হাতে রেখেছে৷ ‘‘সরকারের মিস-ম্যানেজমেন্টের (অব্যস্থাপনার) কারণে প্রায় ১৩ লাখের মতো মানুষ প্রথম ডোজ টিকা দিয়ে বসে আছে... সেকেন্ড ডোজ কবে আসবে জানে না৷... তার চেয়েও বড়, বিশাল সংখ্যার মানুষ আছে যারা টিকাই পায়নি৷’’
এদিকে টিকার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা সঠিক ছিল উল্লেখ করে ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, করোনা ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বের ২০টি দেশের মধ্যে একটি৷ আর গণ-টিকাদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের ছয়টি দেশের একটি বাংলাদেশ৷ দেশে প্রায় ১০ কোটি মানুষের করোনা টিকার প্রয়োজন৷ এর মধ্যে ছয় কোটিরও বেশি টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে পাওয়ার কথা৷ সাপ্লাই চেনের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটের সাথে টিকার চুক্তি করা হয়েছে৷ ডিসরাপশনের কারণে টিকা পাওয়া যায়নি৷ তবে ডিসরাপসন শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই নয়, তারা কোনো দেশকেই দিচ্ছে না৷
এদিকে লকডাউনের বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করে রুমিন ফারহানা বলেন, সরকারের নাকের ডগার উপর দিয়ে মানুষ এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাচ্ছে৷ এ বিষয়ে সরকারের আরো অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি৷ সাধারণ মানুষকে সরকারের দেওয়া প্রণোদনা যথেষ্ট নয় বলেও মনে করেন তিনি৷
তবে ডা. হাবিবে মিল্লাত মনে করেন, করোনা ভাইরাসের সতর্কতার বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে৷ সরকার জনগণকে যথেষ্ট প্রণোদনা দিচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি৷
আরআর/এসিবি