‘সরকারের পেছনে লুকাবেন না’
১০ জানুয়ারি ২০১৯পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে বেশ সরব বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূত পেটার ফারেনহলৎস৷ এক টুইটে বৃহষ্পতিবার ফারেনহলৎস শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন৷ দুর্ঘটনা বিমা চালুর জন্য পোশাক কারখানা মালিকদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘সরকারের পেছনে লুকাবেন না৷’’
বুধবার আরেক টুইটে দুর্ঘটনা বিমা চালুর ব্যাপারে জার্মান সরকার সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান ফারেনহলৎস৷ এজন্য শ্রমিকের জন্য বছরে মাথাপিছু মাত্র কয়েক ডলার খরচ হবে বলে জানান তিনি৷
তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় ক্রেতা রাষ্ট্রগুলোর একটি জার্মানি৷ ন্যায্য মজুরির দাবিতে ৬ জানুয়ারি থেকে সড়কে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা৷ সরকারের নির্ধারণ করে দেয়া নতুন বেতন কাঠামো মালিকপক্ষ মানছে না বলে অভিযোগ তাঁদের৷
৬ জানুয়ারি বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন উত্তরার কয়েকটি কারখানার পোশাক শ্রমিকরা৷ এরপর প্রতিদিনই বিক্ষোভ চলছে বিভিন্ন জায়গায়৷ আন্দোলন শুরু হয়েছে সাভার, আশুলিয়া ও নারায়ণগঞ্জেও৷
৮ জানুয়ারি সাভারে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে নিহত হন সুমন নামের এক শ্রমিক৷ পরদিন সাভার হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র৷ আশুলিয়া এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় প্রায় অর্ধশত কারখানা৷ আজও বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা৷
দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করে গত ২৫ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সরকার৷ ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা৷ অর্থাৎ, জানুয়ারির বেতন নতুন কাঠামোয় পাবেন শ্রমিকরা৷ কিন্তু শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানায় মানা হচ্ছে না নতুন কাঠামো৷
নতুন সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিুপু মুনশি এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান ৮ জানুয়ারি বিকালে পোশাক কারখানা মালিক, শ্রমিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন৷ বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, নতুন মজুরি কাঠামোও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ চলতি মাসের ঘাটতি সমন্বয় করে ফেব্রুয়ারিতে বেতন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী৷
এডিকে/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)