সস্তায় নারী কনডম, টাকা দিচ্ছে বিল গেটস
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০মার্কিন সিবিএস টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে প্রকাশিত এক রির্পোটে বলা হয়েছে, সস্তা মূল্যের নারী কনডম বাজারজাত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান৷ এ ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছেন বিল গেটস৷ জাতিসংঘের তথ্যমতে, সারা বিশ্বে বর্তমানে মারণব্যাধি এইডস এর ভাইরাস এইচআইভিতে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা তিন কোটি ৩৪ লাখ লোক৷ এদের দুই তৃতীয়াংশই হচ্ছে আফ্রিকার সাবসাহারান দেশগুলোতে৷ এইডস আক্রান্তদের অর্ধেকই নারী৷ এছাড়া ফি বছর বাড়ছে যৌন রোগীর সংখ্যা৷
নারী কনডম প্রতিরোধ করে যৌন রোগ
যৌন রোগের হাত থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় হিসাবেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন কনডম ব্যবহারের কথা৷ তবে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল বলছে, যৌনপল্লিতে যাতায়াতকারী বেশিরভাগ পুরুষই কনডম ব্যবহার করতে চান না৷ অনেক ক্ষেত্রে তারা কনডমের ব্যবহারও জানেন না৷ আর এই কারণেই যৌনকর্মী এবং খদ্দেরের মধ্যে এইডসের ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে৷ তবে এর বাইরেও সাধারণ অনেক পুরুষও কনডম ব্যবহারে খুব অনিহা প্রকাশ করছেন৷ আর তাই এখন নারীদের জন্য প্রস্তুত বিশেষ কনডম ব্যবহার করাতে চেষ্টায় নেমেছে সংস্থাগুলো৷
বিল গেটসের অর্থে স্বল্পমূল্যের নারী কনডম
ধনকুবের বিলগেটসের বিল এন্ড মালিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এ ধরণের একটি বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে পাথ নামের একটি বেসরকারী অলাভজনক সংস্থা৷ তারাই নতুন এবং কম মূল্যের নারী কনডম উৎপাদনের লক্ষ্যে গ্রহণ করেছে প্রকল্প৷
কার্যক্রম শুরু ১৯৯৩ সালে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এ্যাডমিনেস্ট্রেশন বা এফডিএ কর্তৃক নারী কনডম অনুমোদন করা হয় ১৯৯৩ সালে৷ কিন্তু প্রথম পর্যায়ে এটি নারীদের নজর কাড়তে সমর্থ হয়নি, কারণ এর উচ্চ মূল্য৷ প্রতি কনডমের প্যাকেটের দাম ছিল ১৫ ডলার৷ যা পুরুষ কনডমের চেয়ে অনেক বেশী দাম৷ এই অবস্থায় ৬ দশমিক ৪০ ডলার করে প্রতি প্যাকেটের দাম নির্ধারণ করে নতুন নারী কনডম তৈরি করে একটি কোম্পানি৷ সরকারী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে প্রতিটি কনডম ৪২ সেন্ট করে নির্ধারণ করা হয়৷ গত বছরের মার্চ মাসে এই নতুন ভার্সনে অনুমোদন মেলে৷ এখন তা কেবল মার্কিন বাজারে বিক্রি হচ্ছে৷
পুরুষ কনডম ১ হাজার কোটি পিস
জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইডস এবং ইউএনএফপি এ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিনামুল্যে এই কনডম বিতরণ শুরু করেছে ২০০৫ সাল থেকে৷ সেই বছর থেকেই নারী কনডমের চাহিদা আস্তে আস্তে হলেও বাড়ছে৷ ঐ বছরে বিতরণ করা হয়েছিল ১ কোটি ৪০ লাখ নারী কনডম৷ ২০০৮ এর শেষে বিশ্বের ৯৩টি দেশে এ ধরণের কনডম বিররণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫০ লাখে৷ তবে এখনো এই সংখ্যা কোন ভাবেই পুরুষ কনডমের কাছেই পৌঁছাতে পারেনি৷ এই সব সাহায্য সংস্থার মাধ্যমে ফি বছর ১০০০ কোটি পিস কনডম বিতরণ করা হয়৷
নারী কনডম ব্যাবহারে সবচেয়ে সাফল্য এসেছে জিম্বাবোয়েতে৷ ২০০৮ সালে সেখানে এ ধরণের কনডম বিতরণ করা গেছে ৫০ লাখ পিস৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম