৩,০০০ কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে ফেসবুক
৭ মে ২০১৭বাড়তি ৩,০০০ কর্মী নিয়োগের ঘোষণাটি ফেসবুক দিয়েছে গত বুধবার৷ সাম্প্রতিক সময়ে হত্যা, আত্মহত্যা এমনকি ধর্ষণের মতো বিষয়াদি ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের ঘটনা ঘটেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির নীতিমালাবিরুদ্ধ হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তা বন্ধের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি৷ কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেগুলো পরে সরিয়ে ফেলতেও কয়েক ঘণ্টা সময় নিয়েছে ফেসবুক৷ ফলে বিশ্ব মিডিয়ায় বিষয়টির তীব্র সমালোচনা শুরু হয়৷
নতুন নিয়োগ প্রসঙ্গে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক সাকারবার্গ বলেন, ‘‘আমরা এসব কন্টেন্ট সম্পর্কে আরো সহজে রিপোর্ট করার ব্যবস্থা করছি যাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হয়৷ এই পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যে কাউকে সহায়তার বিষয়টিও থাকতে পারে কিংবা পুরো কন্টেন্ট অপসারণ করাও হতে পারে৷''
আগামী বছর নাগাদ নতুন এই কর্মীদের নিয়োগ দেয়া হবে, যারা প্রতিষ্ঠানটির কমিউনিটি অপারেশন্স ডিপার্টমেন্টে ইতোমধ্যে কাজ করা ৪,৫০০ কর্মীর সঙ্গে কাজ করবেন৷ তবে লাইভ সম্প্রচার মনিটর করার পাশাপাশি ‘হেট স্পিচ' বা শিশু নিপীড়ন প্রতিরোধেও কাজ করবে বলে জানান সাকারবার্গ৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা স্থানীয় বিভিন্ন কমিউনিটি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ অব্যাহত রাখবো, কেননা, তারাই নিজের ক্ষতি করছে এমন কাউকে রক্ষার কিংবা অন্যের দ্বারা ঝুঁকির মুখে আছে, এমন কাউকে বাঁচাতে দ্রুত এগিয়ে আসতে পারেন৷''
মার্ক সাকারবার্গ ফেসবুকের ইতিবাচক দিক সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সম্প্রতি আত্মহত্যা থেকে এক ব্যক্তিকে বাঁচাতে সক্ষম হওয়ার ঘটনাটি তুলে ধরেন৷ ফেসবুকে বিষয়টি ধরা পড়ার পর দ্রুত সহায়তা করা সম্ভব হয়েছিল সেই ব্যক্তিকে৷ আরেকটি ক্ষেত্রে অবশ্য চেষ্টা করেও আত্মহত্যাকারীকে বাঁচানো যায়নি, জানান তিনি৷
উল্লেখ্য, ফেসবুকের দ্রুত প্রসারের পাশাপাশি এতে প্রকাশিত আপত্তিকর কন্টেন্ট দ্রুত মুছে ফেলার বিষয়টি সামনে এসেছে৷ বিশেষ করে মার্কিন নির্বাচনের পর ফেসবুকের মাধ্যমে যাতে আর ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য কঠোর আইনের উদ্যোগ নিয়েছে বিভিন্ন দেশ৷ জার্মানির মন্ত্রিসভা সম্প্রতি এক খসড়া আইন অনুমোদন করেছে৷ সেখানে ফেসবুককে চারশ' কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার সুযোগ রাখা হয়েছে৷
এআই/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)