1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সহিংসতার দায় নির্বাচন কমিশনের

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৬ মার্চ ২০১৪

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে সহিংসতা এবং অনিয়ম নিয়ে উদ্বিগ্ন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁরা মনে করেন, এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন ব্যবস্থাও প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল৷

https://p.dw.com/p/1BQKC
ছবি: DW

তাঁদের মতে, প্রধানত নির্বাচন কমিশন এর জন্য দায়ী হলেও সরকারও দায় এড়াতে পারেনা৷ বিশ্লেষকরা উপজেলা পরিষদের সামনের নির্বাচনে আরো সহিংসতার আশঙ্কা করছেন৷ কারণ এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে নির্বাচন চর দখলের মতো হবে বলে তাঁরা মন্তব্য করেন৷

উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় পর্যায়ে শনিবার ২জন নিহত হওয়া ছাড়াও ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ব্যালট পেপারে সিল ও ভোটকেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে৷ নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে ২১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করেছে৷ আর নির্বাচনে সহিংসতা এবং কারচুপির অভিযোগে বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ কোথাও কোথাও রবিবার হরতাল ডাকা হয়েছে৷

Bangladesch Parlamentswahlen
ফাইল ছবিছবি: STRINGER/AFP/Getty Images

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তৃতীয় দফায় এসে উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা আরো বেড়ে গেল৷ নির্বাচন কমিশনের শিথিলতার কারণে এখন ভোট বাদ দিয়ে কেউ কেউ পেশী শক্তির মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে নিতে চাইছেন৷ এটা নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত৷'' তিনি বলেন, ‘‘সংসদের মতো উপজেলা নির্বাচন একতরফা নয়৷ সব দলই অংশ নিচ্ছে৷ ফলে ভোটকেন্দ্র দখল, পাল্টা দখলের ঘটনা ঘটছে৷ সামনে আরো যে নির্বাচন আছে তাতে এই প্রবণতা বাড়বে৷'' তিনি বলেন, ‘‘এই সহিংসতার দায় নির্বাচন কমিশনের৷ তাদের বার বার সতর্ক করার পরও তারা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি৷ সরকারও এর দায় এড়াতে পারেনা৷''

এদিকে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শনিবারের নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করেছে৷ দেখে মনে হয়েছে তাদের যেন কোনো দায়িত্ব নেই৷'' তিনি বলেন, ২‘‘এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশের গণতন্ত্র এবং নির্বাচন ব্যবস্থা চরম হুমকির মুখে পড়বে৷''

Bangladesch Parlamentswahlen
ফাইল ছবিছবি: STRINGER/AFP/Getty Images

হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও সরকারের ইচ্ছা শনিবারের নির্বাচনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে৷ ফলে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ হবেনা তা নিশ্চিত৷'' তাঁর মতে, ‘‘উপজেলা পরিষদের সামনের নির্বাচনে সহিংসতা আর কেন্দ্র দখলের ঘটনা আরো বাড়বে৷''

নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন৷ প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিব উদ্দিন আহমেদ ছুটিতে আছেন৷

শনিবারের তৃতীয় দফায় ৮১টি উপজেলা পরিষদের নিবাচনের পর ২৩ মার্চ উপজেলা নির্বাচনের ৪র্থ পর্যায়ে ৯২টি উপজেলায় এবং ৩১ মার্চ ৫ম পর্যায়ে ৭৪টি উপজেলায় নির্বাচন হবে৷ এপ্রিলে ৬ষ্ঠ ধাপে ২২টি উপজেলার নির্বাচন হওয়ার কথা৷ তবে ৬ষ্ঠ ধাপের তফশিল এখনো ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য