1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবাদিক যুবায়েরকে জামিন দিলো সুপ্রিম কোর্ট

২১ জুলাই ২০২২

অবশেষে জামিন পেলেন ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট অল্ট নিউজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাংবাদিক মহম্মদ যুবায়ের। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, যুবায়েরকে জেলে রাখার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই।

https://p.dw.com/p/4ER3H
চার বছরের পুরনো টুইটকে কেন্দ্র করে দিল্লি পুলিশ যুবায়েরকে গ্রেপ্তার করে।
চার বছরের পুরনো টুইটকে কেন্দ্র করে দিল্লি পুলিশ যুবায়েরকে গ্রেপ্তার করে। ছবি: Anupam Gautam/IANS

সর্বোচ্চ আদালতের মতে, আইনের প্রচলিত নীতিই হলো, গ্রেপ্তার করার অস্ত্রটা সংযতভাবে ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান মামলায় যুবায়েরকে জেলে রাখার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। তাকে বিভিন্ন আদালতে নানান মামলায় অন্তহীন ঘোরানোর কোনো অর্থ হয় না। সর্বোচ্চ আদালতের মতে, এটা হলো দুষ্টচক্র।

সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে যুবায়েরের বিরুদ্ধে যে সব মামলা করা হয়েছে, তা দিল্লিতে নিয়ে আসা হবে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের আবেদন ছিল, যুবায়েরের টুইট করা বন্ধ করতে হবে। আদালত সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে।

বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, ''একজন সাংবাদিককে কী করে বলা যাবে, আপনি আর লিখবেন না? এটা তো একজন আইনজীবীকে শুনানি না করতে বলার মতো বিষয়! তিনি আইনের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন। কিন্তু কী করে আগে থেকে ধরে নেয়া হবে একজন নাগরিক আইন ভাঙবেন? আমরা এরকম কোনো নির্দেশ দেব না।''

যুবায়েরকে চার বছর আগের একটি টুইটের জন্য গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। তারপর উত্তরপ্রদেশে তার বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার পর যুবায়ের যখন জামিনের আবেদন করেন, তখন উত্তরপ্রদেশে একের পর এক মামলা তার বিরুদ্ধে করা হতে থাকে। দিল্লিতে জামিন পেলেও তিনি মুক্তি পাননি।

লখিমপুর খেরি, হাথরস, সীতাপুরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তিনি টুইট করে ঘৃণা ছড়িয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, দিল্লির মামলায় যুবায়ের জামিন পেয়েছিলেন। তারপরেও তিনি তার ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষা করতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করা হয়েছে। এটাই সুপ্রিম কোর্টের মতে দুষ্টচক্র।

রাত নয়টা নাগাদ তিহার জেল থেকে ছাড়া পান যুবায়ের। তাকে ঘিরে ছিলেন তার আইনজীবীরা। যুবায়ের শুধু দুই আঙুল তুলে ভি চিহ্ন দেখিয়ে গাড়িতে উঠে পড়েন।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই, এনডিটিভি)