সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
১২ ডিসেম্বর ২০২৪অর্থাৎ সারা বিশ্বের মোট নিহত সাংবাদিকের এক তৃতীয়াংশই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন৷
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থানের তালিকায় গাজার পরই আছে পাকিস্তানের নাম৷ সেখানে সাত সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন৷
তালিকার পরের নাম দুইটি হলো বাংলাদেশ ও মেক্সিকো৷ উভয় দেশে পাঁচজন করে সাংবাদিক নিহত হন৷
সারাবিশ্বে ৫৫ জন সাংবাদিক এ মুহূর্তে জিম্মি অবস্থায় আছেন৷ জিম্মিদের মধ্যে ২৫ জনই ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাতে আটক রয়েছেন৷ পাশাপাশি, ২০২৪ সালে ৯৫ জন সাংবাদিক নিখোঁজ হয়েছেন৷ নতুন করে এই তালিকায় এ বছর চার জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে৷
ফিলিস্তিনে নিহত সবচেয়ে বেশি
আরএসএফের এই বার্ষিক প্রতিবেদনে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য যুক্ত করা হয়৷ এতে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘‘ফিলিস্তিন এখন সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ৷ গত পাঁচ বছরে অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে এ বছর ফিলিস্তিনে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেশি৷'' নিহতদের এক তৃতীয়াংশই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন৷
আরএসএফের এই বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ বছর ১৮ জন সাংবাদিকের প্রাণহানির সঙ্গে ইসরায়েলের সরাসরি সংযোগ রয়েছে৷ তাদের মধ্যে ১৬ জন গাজায় ও দুই জন লেবাননে নিহত হন৷
সংগঠনটি জানায় ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজার সংঘাত শুরুর পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতে ১৪৫ জনেরও বেশি সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন৷ তাদের মধ্যে ৩৫ জন সংবাদ সংগ্রহের সময় নিহত হন৷ প্রতিবেদনে এই হত্যাযজ্ঞকে ‘‘নজিরবিহীন রক্তস্নান'' হিসেবে অভিহিত করা হয়৷
মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট (আইএফজে) পৃথক এক প্রতিবেদনে জানায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১০৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকের বেশি গাজায় প্রাণ হারান৷ আইএফজে ও আরএসএফের তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া ভিন্ন থাকায় নিহতের সংখ্যায় তারতম্য দেখা দিয়েছে৷
ইসরায়েল জ্ঞাতসারে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে৷ তবে তারা স্বীকার করেছে, সামরিক লক্ষ্যবস্তুর ওপর বিমানহামলা চালানোর সময় কয়েকজন সাংবাদিক নিহত হয়ে থাকতে পারে৷ বুধবার ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র ডেভিড মারসার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্যের সত্যতা অস্বীকার করেন৷
এপিবি/এসিবি (এএফপি)