সাইক্লোন সিডর
বাজার আর চেনা যায়না
এটি একটি গ্রাম্যবাজারের চিত্র৷ সাইক্লোনের ঠিক তিনদিন পরের৷ স্থানীয়দের দাবি, এই বাজারের কিছুই অবশিষ্ট নেই৷ সব নিয়ে গেছে সিডর, এক ছোবলেই জীবনাবসান ...
ডাইনোসরের হেঁটে চলা
সাইক্লোন সিডরের পর দক্ষিণাঞ্চলের একটি গ্রামের ছবি এটি৷ সব বড় গাছগুলো মাথা নুইয়ে আছে বিশৃংখলভাবে৷ মনে হচ্ছে প্রাগঐতিহাসিক যুগের কোন ডাইনোসর বুঝি হেঁটে গেছে এই গাছগুলোর উপর থেকে ...
অস্থায়ী আবাসন
আধা পাকা রাস্তার দুপাশে সারি সারি অস্থায়ী আবাসন৷ সিডরের পর দক্ষিণাঞ্চলের অনেকর স্থানে দৃশ্য ছিল এমন৷ সেই অস্থায়ী আবাসনে শুয়ে এই ছোট্ট মেয়েটি বলছিলো, সাইক্লোনের রাতের কথা৷ কিভাবে বেঁচে গেছে সে, সেই বয়ান৷
কার্নিশ ছাড়া ছাদ
চর কলাগাছিয়া৷ পটুয়াখালীর উপকুলীয় অঞ্চলে জেগে ওঠা এই চরে নেই কোন বেড়িবাধ৷ আর তাই সবাই বলে এ যেন, কার্নিশ ছাড়া ছাদ৷ সাইক্লোন সিডরের ফলে এই চরের বহু মানুষ তাদের স্বজন হারিয়েছে, হারিয়েছে জীবন জীবিকার সম্বল৷ বাংলাদেশ সরকার কি সাইক্লোন বা জলোচ্ছাসের হাত থেক এই চর রক্ষায় কোন উদ্যোগ নেবে?
মারা পড়েছিলো অগনিত পশু পাখি
সাইক্লোন সিডরে মারা পড়া মানুষের সংখ্যা, সরকারী হিসেবে সাড়ে তিন হাজার৷ বেসরকারী হিসেবে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি৷ তবে পশুপাখির সংখ্যা? এই হিসেব কারো কাছে নেই৷ রাখা সম্ভবও নয়৷ সাইক্লোনের পর সুন্দরবনের কাছের একটি ছোট্ট খালে এভাবেই ভেসে থাকতে দেখা গেছে অগনিত পশুপাখির মরদেহ ...
নদীই জীবন, নদীই মরন
নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীগুলোর অবস্থা এখন বেশ বেহাল৷ খড়ার মৌসুমি নদীতে থাকে না পানি, আর বর্ষাকালে টুইটুম্বুর পানিতে৷ সাইক্লোন সিডরের পর পরই পটুয়াখালীর একটি নদীর ছবি এটি৷
বাবা, কয়ডা টাহা দেবা ...
এই ছবিটিও স্বরণখোলা থেকেই তোলা৷ সিডর থেকে বেঁচে যাওয়া বর্ষীয়ান এই নারী সাহায্য চান৷ তিনি হারিয়েছেন তাঁর প্রিয়জনকে ...
সাহায্য চাই
বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের মেয়েরা খানিকটা লাজুক প্রকৃতির৷ ভিনদেশী বা শহুরে মানুষদের সামনে যেতে খানিকটা বিব্রত তারা৷ কিন্তু সিডর যে কেড়ে নিয়েছে সবকিছু৷ তাই সাহায্যের জন্য আবেদন, তবে সেটা খানিকটা আড়ালে থেকে৷ এই মেয়েটির অবস্থাও তাই ...
আমাগো কিচ্ছু নাই ...
স্বরনখোলা৷ সুন্দরবনের গা ঘেষা এক ছোট্ট ইউনিয়ন৷ সেই ইউনিয়নের একটি গ্রাম খুড়িয়াখালি৷ সাইক্লোন সিডরের পর সেখানে গিয়ে দেখা মিললো আতংকিত চোখ নিয়ে ঘুরে ফেরা কিছু মানুষের৷ পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেল্টার নেই সেই এলাকায়৷ আর তাই কেউবা গাছে চড়ে আবার কেউবা টিনের চালার উপর উঠে বাঁচিয়েছে নিজেকে৷ যারা প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে পারেনি তারা মারা পড়েছে৷ বেঁচে যাওয়া অনেকেই হয়েছে আহত, আর তাই আকুতি, কিছুটা সাহায্য কি পাওয়া যাবে? ছেলেটার চিকিত্সা দরকার ...
আলৌকিকভাবে বেঁচে থাকা
দুই ভাই, ওবায়দুল (ডানে) আর জাহিদুল৷ সাত বছরের ওবায়দুলকে বলা হয় মিরাকল বয়৷ সাইক্লোন সিডরের রাতে চর কলাগাছিয়া থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরের আরেকটি চর পর্যন্ত ভেসে গিয়েছিলো সে৷ সঙ্গে ছিলো তার মা৷ সকাল বেলা যখন তাকে নদীর কিনারা থেকে উদ্ধার করা হয় ততক্ষনে তার মা আর বেঁচে নেই৷ তবে বেঁচে যায় ওবায়দুল৷ জানতে চেয়েছিলাম, কিভাবে বেঁচে গেছো? উত্তর, মায়ে বাঁচাইছে৷ আলোকচিত্র: আরাফাতুল ইসলাম