1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অবৈধ আটক' অবসানের দাবি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৫ আগস্ট ২০১৬

যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেম ও একই অপরাধে ফাঁসি হওয়া সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মামের আটককে ‘অবৈধ' বলে এমন আটকের অবসান চেয়েছে অ্যামনেস্টি ও এইচআরডাব্লিউ৷

https://p.dw.com/p/1JiWS
Bangladesh Urteil Salahuddin Quader Chowdhury
হুম্মাম কাদের চৌধুরী (ফাইল ছবি)ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman

গত শনিবার নিউইয়র্ক থেকে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে মানবাধিকার সংস্থা দুটি এ দাবি জানায়৷ তবে বাংলাদেশের পুলিশ মীর আহমেদ বিন কাসেম আলী ও হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে আটকের কথা অস্বীকার করেছে৷

মীর আহমেদ বিন কাসেম আলীকে ৯ আগস্ট ও হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে গত ৪ আগস্ট ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে যায় বলে তাদের পরিবারে পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে৷

তবে যৌথ বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক চম্পা প্যাটেল দাবি করেন, ‘‘মীর আহমেদ ও হুম্মামকে আইন শৃংখলা বাহিনীর হেফাজতে আটক রাখা হয়েছে৷ কিন্তু সরকার অব্যাহতভাবে তা অস্বীকার করে চলেছে৷ দু'জনের সাথেই পরিবার বা আইনজীবীদের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না এবং ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেও হাজির করা হয়নি৷''

Masudur Rahman

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘‘বিএনপির সদস্য হুম্মামকে ৪ অগাস্ট আদালতে হাজিরা দেয়ার জন্য তার মায়ের সাথে যাওয়ার সময় আটক করা হয়৷ তার মায়ের দাবি মতে, সাদা পোষাকের মানুষ, যাদের কয়েকজনের কাছে অস্ত্র ছিল, তারা জোর করে হুম্মামকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাদের সাথে নিয়ে যায়৷ অন্যদিকে মীর আহমেদ সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী৷ তাকে ৯ অগাস্ট একইভাবে সাদাপোষাকধারীরা আটক করে নিয়ে যায়৷ তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী এবং এক আত্মীয় সেখানে ছিলেন৷''

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘‘এই দু'জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে৷ যদিও বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, তাদের দু'জনকেই ১২ আগস্ট সকালে ব়্যাব হেড কোয়ার্টারে দেখা গেছে৷''

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘‘গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঘন্য হত্যাকান্ডসহ বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অপরাধে দোষীদের খুঁজে বের করার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷ কিন্তু অবৈধ ও গোপনে আটকে না রাখার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি৷ অবিলম্বে হুম্মাম ও মীর আহমদের অবৈধ আটকের অবসান হওয়া উচিত৷''

Noor Khan

কিন্তু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার(মিডিয়া) মাসুদুর রহমান এ বিষয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘হুম্মাম বা মীর আহমেদকে পুলিশ আটক করেনি৷ তারা কেথায় আছেন এটা আমাদের জানার কথা নয়৷ তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো অভিযোগও করা হয়নি৷''

এদিকে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তাদের পরিবারের কাছ থেকে ওই দু'জনকে তুলে নেয়ার যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তাতে সন্দেহ করার কারণ আছে যে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী'র কারোর হাতে আটক হয়েছেন৷''

নূর খান আরো বলেন, ‘‘আমরা অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি বেশ কিছু ঘটনায় আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে তাদের আটক দেখানো হয়েছে, অথবা ভিন্ন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷''

প্রসঙ্গত, হুম্মামের বাবা সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃতু্যদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ২০১৫ সালে নভেম্বরে ৷ আর মীর আহমেদের পিতা মীর কাসেম আলীর মৃতু্যদণ্ডের ওপর রিভিউ আবেদনের শুনানি এ মাসেই হওয়ার কথা রয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য