সাকিব তিনবার গোপন করেছেন!
২৯ অক্টোবর ২০১৯তার বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগই স্বীকার করে নিয়েছেন সাকিব আল হাসান৷ আইসিসিকে তিনি বলেছেন, তার ভুল থেকে তরুণ ক্রিকেটাররা যাতে শিক্ষা নিতে পারেন, সে উদ্দেশ্যেও কাজ করতে চান তিনি৷
১) আর্টিকেল ২.৪.৪- ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের অংশগ্রহণে ত্রিদেশীয় সিরিজ বা একই বছর অনুষ্ঠিত আইপিএল-এ প্রথমবার ‘দুর্নীতিতে জড়ানোর' প্রস্তাব পান সাকিব৷ কিন্তু এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট আকসুকে জানাননি সাকিব৷
২) আর্টিকেল ২.৪.৪- ২০১৮ সালের জানুয়ারিতেই একই ত্রিদেশীয় সিরিজে দ্বিতীয়বার সাকিবের কাছে আসে এমন ‘প্রস্তাব'৷ সেটিও পরবর্তীতে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট আকসুকে জানাননি সাকিব৷
৩) আর্টিকেল ২.৪.৪- ২০১৮ সালের এপ্রিলে সানরাইজারস হায়দারাবাদ ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচ নিয়েও ‘দুর্নীতির প্রস্তাব' আসে সাকিবের কাছে৷ এই প্রস্তাব বিষয়েও পরবর্তীতে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট আকসুকে জানাননি সাকিব আল হাসান৷
যা বলছে আইসিসি
আইসিসি বলছে, তিনটি আলাদা ঘটনায় দুর্নীতির প্রস্তাব আসার সঙ্গে সঙ্গে আকসুকে তা না জানিয়ে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের যে লংঘন হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সাকিব৷
ফলে তাকে ২ বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হলেও এর মধ্যে এক বছর স্থগিত করা হয়েছে৷ আর্টিক্যাল ৬.২ অনুসারে, এই সিদ্ধান্ত জানানোর দিন থেকেই শুরু হবে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ৷ ফলে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরের আগে আর ক্রিকেট খেলতে পারছেন না সাকিব৷
কোড অব কন্ডাক্টের আর্টিক্যাল ৮.২ অনুসারে আইসিসি ওয়েবসাইটসহ জনসম্মুখে সাকিবের অপরাধের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে৷ এবং সাকিব সব অভিযোগ মেনে নেয়ায় ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রয়োজন পড়েনি৷ ফলে এ তদন্ত এখানেই সমাপ্ত করার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে৷
এডিকে/কেএম