সাকিবের স্ত্রীর কাছে একটি প্রশ্ন
২২ আগস্ট ২০২০ঘটনাটাকে ছোট বলা যাবে না, কারণ, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারীদের শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনার কাজ শুরু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)৷
সাকিব আল হাসানের সন্তান না হলে এবং কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি না হলে পুলিশ তৎপর হতো কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে৷সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন মন্তব্যের তো অভাব নেই৷ কত নারী, পুরুষই তো এসবের নিয়মিত শিকার৷ শূন্য দশমিক শূন্য শূন্য শূন্য শূন্য শূন্য ভাগেরও কি খবর রাখে পুলিশ? ব্যবস্থা নেয়?
তবে মনে হয় সেই প্রশ্ন এখন তোলার মানে নেই৷ তারকার সন্তান হলেও সন্তান সন্তানই৷ শিশু শিশুই৷ তার বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের অন্যায় আচরণ বা মন্তব্যই প্রতিবাদযোগ্য৷
সে কারণে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন, তাদের নিশ্চয়ই ধন্যবাদ প্রাপ্য৷
একটাই শুধু কামনা- আগামীতে সব ক্ষেত্রে যেন এমন প্রতিবাদী মানসিকতা প্রকাশ পায়৷
অবশ্য সাকিবের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে, তার এবং তার সন্তানের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদকারীরাই এখন বিব্রতকর অবস্থায়৷ সাকিবের স্ত্রী ‘উম্মে আল হাসান সাকিব' নামের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় দাবি করেছেন, তাদের কাছে বিষয়টি খুব তুচ্ছ৷ এমন ঘটনা তারকাদের জীবনে ঘটেই থাকে এবং বিদেশে এ নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না বলেও মনে করেন তিনি৷
সব দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এক কিনা সে বিষয়ে সাকিবের স্ত্রীর ধারণা কতটুকু আমাদের জানা নেই৷ এ-ও জানা নেই, কোনো অপরাধ প্রথমে গুটিকয় মানুষ করলেই যে মেনে নিতে হবে এটা কেমন যুক্তি৷ সব জিনিস, সব অপরাধ ছোট থেকেই তো বড় হয়! অথচ সাকিবের স্ত্রী সেই যুক্তিতেই কথা বলেছেন৷ তিনি বলেছেন, মাত্র চারজন করেছিলেন কুরুচিকর মন্তব্য এবং সেগুলোকে নাকি তিনি এবং সাকিব কোনো গুরুত্বই দেননি৷ উল্টো প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধেই সাকিবের স্ত্রী'র অভিযোগ, তারা নাকি ছোট একটা বিষয়কে বড় বানিয়ে নিজেদের ফেসবুক পেজের ফলোয়ার বাড়াতে চাইছেন!
প্রতিবাদকারীরা সত্যিই তা চেয়েছেন কিনা তা প্রমাণসাপেক্ষ৷
তবে সাকিব আল হাসান এবং তার স্ত্রী যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যকে গুরুত্বই দেননি তা কি ঠিক?
গুরুত্ব না দিলে ছবিটা ফেসবুক পাতা থেকে সরিয়ে নিলেন কেন?
সাকিব উম্মে আল হাসান, কাজ একরকম, কথা আরেকরকম হয়ে গেল না?