সাগরমেলার পয়সা কুড়ানিরা
লাখ লাখ পুণ্যার্থী। সাগরে পয়সা ফেলছেন তারা। বিশাল বিশাল চুম্বকে সেই পয়সা কুড়িয়ে নিচ্ছেন ওরা। এও এক জীবিকা।
পয়সা ফেলার চল
পুণ্যার্থীরা ভক্তি অর্জনের জন্য সাগরে পয়সা ফেলেন। এটা এক ধরনের প্রথা। ত্যাগের প্রতীক। লাখ লাখ পুণ্যার্থী সাগরমেলায় এসে এভাবেই জলে টাকা ছুঁড়ে দেন।
কুড়ানির দল
কথায় বলে সাগর কিছুই নেয় না, ঢেউ সব ফিরিয়ে দেয়। পয়সা কুড়ানিরাও ঢেউয়ের অপেক্ষায় বসে থাকেন।
চুম্বকের যন্ত্র
কুড়ানিরা শক্তিশালী চুম্বক দিয়ে এমন যন্ত্র তৈরি করেছেন। ঢেউ যখন আসে তখন তার মধ্যে এই যন্ত্র তারা ধরেন। আর তাতেই উঠে আসে পুণ্যার্থীদের ছুঁড়ে ফেলা পয়সা।
কুড়ানি অনেক
প্রায় ষাট-সত্তর জন কুড়ানি এভাবেই প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত পয়সা সংগ্রহ করেন। ভালো রোজগার হয়।
নারী-পুরুষ সকলেই
শিশু, নারী, পুরুষ সকলেই এ কাজে নেমে পড়েন। মূলত স্থানীয় গরিব মানুষই এ কাজ করেন। তাদের কেউ বাধাও দেন না।
রোজগার কত?
ডিডাব্লিউয়ের প্রতিনিধি এক কুড়ানিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এভাবে দিনে কত রোজগার হয়? কুড়ানির জবাব, সময় সময় হাজার টাকাও রোজগার হয় দিনে।
টানাটানির বাজার
অন্য বছর সংক্রান্তির সময় অনেক বেশি ভিড় হয় সাগরে। এবার কোভিডের কারণে মানুষ তুলনায় কম। তাই রোজগারও প্রতিবছরের মতো হচ্ছে না কুড়ানিদের।