সাতটি হত্যাকাণ্ড যা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, গোঁড়ামি, ঘৃণা, উচ্চাশা – এমন নানান কারণে বিভিন্ন সময়ে শীর্ষ ও জনপ্রিয় ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে৷ ছবিঘরে থাকছে এমনই সাত হত্যাকাণ্ডের কথা৷
জুলিয়াস সিজার
খ্রিষ্টপূর্ব ৪৪ সালের ১৫ মার্চ রোমান সেনাপতি সিজারকে হত্যা করা হয়েছিল৷ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বেশ কয়েকজন সিনেটর৷ সিজারের মরদেহে মোট ২৩টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল৷ সিজার হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন তাঁরই পরম বন্ধু মার্কুস ব্রুটাস৷ সিজারের মৃত্যুর পর খ্রিষ্টপূর্ব ৩০ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল৷
ফ্রানৎস ফার্ডিনান্ড
১৯১৪ সালের ২৮ জুন সারায়েভোতে ফার্ডিনান্ডের গাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়৷ তিনি অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী ছিলেন৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর অন্যতম কারণ হিসাবে মনে করা হয় এই হত্যাকাণ্ডকে৷
আব্রাহাম লিংকন
১৮৬১ ও ১৮৬৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল সেটা থামাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন দেশটির ১৬তম প্রেসিডেন্ট লিংকন৷ এছাড়া তাঁর সময়েই যুক্তরাষ্ট্রে দাসত্বের অবসান হয়েছিল৷ ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ হত্যায় প্রাণ যাওয়া প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন লিংকন৷ হত্যাকারী জন বুথ দাসত্বপ্রথা বিলুপ্তের চরম বিরোধী ছিলেন৷ ছিলেন ‘কনফেডারেসি’-র সমর্থক৷
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র
‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’-খ্যাত মার্টিন লুথার কিংকে হত্যা করা হয় ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল৷ যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য সমান অধিকার চালুর পক্ষে সোচ্চার ছিলেন তিনি৷ এজন্য তাঁকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছিল৷
জন লেনন
বিটলস খ্যাত লেনন যখন নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে তাঁর বাড়িতে ঢুকছিলেন তখন তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷ ১৯৮০ সালের ৮ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটে৷
মাহাত্মা গান্ধী
অহিংস আন্দোলনের পথিকৃত গান্ধীকে ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি হত্যা করা হয়৷ ১৯৩৪ সাল থেকে তাঁকে পাঁচবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল৷
জন এফ কেনেডি
১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট কেনেডির হত্যার খবর সারা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল৷ ডালাসে খোলা ময়দানে অনুষ্ঠিত প্যারেডে অংশ নেয়ার সময় তাঁকে গুলি করেন লি হার্ভে ওসওয়াল্ড৷