সানিয়া মির্জা'র সুখ-দুঃখের কাহিনি
২৭ জানুয়ারি ২০১২রয়টার্স'এর ইন্টারভিউতে সানিয়া মির্জা তার হাতের বুড়ো আঙুল বেঁকিয়ে কব্জির ওপরে ঠেকিয়ে দেখিয়েছেন যে, তিনি সত্যিই, তার ভাষায়, ‘‘ডাবল জয়েন্টেড''৷ বলেছেন, একবার নাকি তার এমন কব্জির চোট লেগেছিল যে, টেনিস খেলাই বন্ধ হতে চলেছিল৷ কাঁটাচামচ তুলে খেতে পর্যন্ত কষ্ট হচ্ছিল৷ আজ ২৫ বছর বয়স হবার আগেই যার তিন বার অস্ত্রোপচার হয়েছে, তার সুস্থ হতেও অনেকটা সময় লাগে, বলেছেন সানিয়া৷
সেই কারণেই হয়তো সিঙ্গলসে বিশ্বের বাছাই তালিকায় ২৭'এ পৌঁছনোর পরও সানিয়াকে আজ মেলবোর্নে - এবং হয়তো আগামীতে লন্ডন অলিম্পিকেও - মেডেল জেতার জন্য মিক্সড ডাবলসের ওপরেই ভরসা করতে হবে৷ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তিনি খেলছেন মহেশ ভূপতিকে পার্টনার করে৷ লন্ডনে তিনি ভূপতি, লিয়ান্ডার পেজ না রোহন বোপান্না'কে পার্টনার করে খেলবেন, সে সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় টেনিস অ্যাসোসিয়েশন, রয়টার্স'কে জানালেন সানিয়া৷
ক্রিকেট-পাগল ভারতে টেনিসকে জনমানসে একটা নতুন পর্যায়ে তুলে দিয়েছেন সানিয়া৷ কিন্তু এই জনপ্রিয়তার দামও দিতে হয়েছে তাকে৷ কোটি কোটি মানুষের দেশ ভারতে লোকে যে তাকে ভলোবাসে, শ্রদ্ধা করে, সেটা হল ঐ জনপ্রিয়তার ভালো দিক৷ অপরদিকে রয়েছে মিডিয়ার চোখ সানিয়ার টেনিস ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি খুঁটিনাটির ওপরে৷ প্রত্যেকেরই তার সম্পর্কে মতামত রয়েছে৷ প্রত্যেকেই যেন টেনিসও তার চেয়ে ভালো বোঝে৷ কিন্তু তা নিয়েও বাঁচতে হবে, বললেন সানিয়া৷
২০০৮ সালে হপম্যান কাপে তিনি নাকি ভারতীয পতাকার প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন - সেই নিয়ে একটা ঝড় গেছে৷ সেই সঙ্গে আছে তার টেনিসের পোশাক নিয়েই শ্লীলতা, অশ্লীলতার নানা উক্তি এবং অভিযোগ৷ ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি যেন একটা মুক্ত মঞ্চের উপর জীবন যাপন করছেন৷ তার পরেও দশ বছর কেটে গেছে৷ এখনও তিনি পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেননি, জানালেন সানিয়া৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক