সাবধান! লাদেনের ছবির আড়ালে ভাইরাস
৬ মে ২০১১মার্কিন কর্তৃপক্ষ, গুলিতে নিহত ওসামা বিন লাদেন-এর ছবি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তাছাড়া যে ছবিটি দেখিয়ে ফেসবুকে এসব পোস্ট করছে দুষ্টচক্র, সেটি একটি ভুয়া ছবি৷ কম্পিউটারে ছবি সম্পাদনার সফটওয়্যার দিয়ে আজকাল অনেকেই বানাতে পারে এমন ছবি৷ তাই, এগুলোকে বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই৷
প্রশ্ন জাগতে পারে, এসব লিংকে ক্লিক করলে কি হবে? ফেসবুকের কথাই ধরা যাক, আপনার ওয়ালে হঠাৎ দেখলেন একটি পোস্ট এসেছে, লাদেনকে হত্যার ভিডিও দেখতে ক্লিক কর৷ দেখলেন আপনারই কোন ফেসবুক বন্ধু সেটা পাঠিয়েছে৷ অনুসন্ধানী মনে ক্লিক করলেন৷ এবার আসবে বাড়তি লিংকসহ একটি পাতা৷ বলা হবে, এটি কপি করে ব্রাউজারে পেস্ট করতে৷ এটাও যদি করেন, তাহলে আপনার অজান্তেই আপনার নামে ফেসবুকে বিভিন্ন জনের কাছে যেতে শুরু করবে বার্তা, ‘‘লাদেনকে হত্যার ভিডিও দেখতে ক্লিক কর''৷ একইসঙ্গে আপনার প্রোফাইলের গোপন সব তথ্যে প্রবেশাধিকার পাবে দুষ্টচক্র৷
মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই লাদেন এর ছবি এবং ভিডিওযুক্ত ভাইরাস সম্পর্কে রক্ষা পেতে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে৷ এগুলো হচ্ছে:
- ফেসবুক সেটিংসে গিয়ে আপনার প্রোফাইলটিকে আরো মজবুত করুন৷ যাতে করে বন্ধু বা অবন্ধুরা সহজে আপনার ফেসবুক ওয়ালে কিছু পোস্ট করতে না পারে৷
- লাদেন হত্যার ভিডিও দেখার লোভে ভুলেও কোন বাড়তি সফটওয়্যার কম্পিউটারে ইন্সটলের আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন না৷ এধরনের সফটওয়্যার আপনার কম্পিউটারের ক্ষতি করবে৷ তাছাড়া এগুলো আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ গোপন তথ্য অন্যের হাতে তুলে দিতে পারে৷
- ই-মেইল এবং সামাজিক যোগাযোগে প্রাপ্ত ওসামা সংক্রান্ত পোস্টগুলো ভালো করে পড়ে দেখুন৷ ক্ষতিসাধনের ইচ্ছায় প্রেরিত বার্তাগুলোয় সাধারণত ভুল ব্যাকরণ, ভুল বানান এবং দুর্বোধ্য ইংরেজি ব্যবহার করা হয়৷
- এফবিআই বা অন্য কোন গোয়েন্দা সংস্থার নামে বার্তা পেলে দয়া করে তাদেরকে রিপোর্ট করুন৷ দুষ্টচক্র এফবিআই বা অন্য গোয়েন্দা সংস্থার লেবাসে বার্তা পাঠিয়ে আপানাকে বিভ্রান্ত করতে পারে৷
আরেকটি তথ্য জানিয়ে শেষ করি, টুইটারে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা হচ্ছে ওসামা নিহতের খবর৷ পিউ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, আনুপাতিক হারে সবচেয়ে বেশি মানুষ এই মৃত্যু নিয়ে টুইটারে রসিকতাপূর্ণ বার্তা পাঠিয়েছে৷ কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করেছে যে, আসলেই কি লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে? এছাড়া ছিল লাদেন নিজের স্ত্রীকে ঢাল হিসেবে ব্যবহারের অশুদ্ধ খবরটি নিয়ে আলোচনা৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা