1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যবসায় এগিয়ে বাংলাদেশের নারীরা

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১০ অক্টোবর ২০১৬

বাংলাদেশে সাধারণ ব্যবসায় নারী নেতৃত্ব পাঁচ শতাংশ হলেও সামাজিক ব্যবসার ২০ শতাংশের নেতৃত্ব রয়েছে নারীদের হাতে৷ এখানে যে কর্মশক্তি রয়েছে তার ৪১ শতাংশই নারী৷ ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে৷

https://p.dw.com/p/2R5Ej
Flash-Galerie berufstätige afghanische Frauen
ফাইল ছবিছবি: AP

গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশে ১ লাখ ৫০ হাজার সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ এ খাতের সুবিধা ভোগ করছেন ২ লাখ ৭ হাজার মানুষ৷ শিক্ষা খাতে সামাজিক ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি সম্প্রসারিত হয়েছে৷ তবে এ খাতে লিঙ্গ বৈষম্য রয়েছে৷ জরিপ অনুযায়ী, দেশের ৭৯ শতাংশ সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজের নিবন্ধন ২০০৯ সালের মধ্যে এবং বেশির ভাগ নেতৃত্বদানকারীর বয়স ৩৫ বছরের কম৷ এ খাতের সমপ্রসারণে সবচেয়ে বড় প্রতিন্ধকতা প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব ৷

ওভারসিজ ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিউটের নেতৃত্বে বেটার স্টোরিজ, ইউএন লিমিটেড ও সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ইউকে'র সহায়তায় ব্রিটিশ কাউন্সিল ‘দ্য স্টেট অব সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ইন বাংলাদেশ' এবং ‘সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ পলিসি ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ' নামে এ গবেষণা পরিচালনা করেছে৷ ওই দুই প্রতিবেদন অনুযায়ী সাধারণ ব্যবসার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ নারী নেতৃত্ব থাকলেও সামাজিক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে নারীরা ২০ ভাগ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন৷ সামাজিক ব্যবসায়ের কর্মশক্তির ৪১ শতাংশই নারী, যা অন্যান্য সাধারণ প্রতিষ্ঠানে নারীর অংশগ্রহণের প্রায় তিনগুণ৷

DR Naznin Ahmed - MP3-Stereo

বাংলাদেশের একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক গড় আয় ২১ লাখ টাকা৷ আগামী বছর তা আরও এক-তৃতীয়াংশ বাড়বে৷ বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসা খাতটির উন্নয়ন ঘটছে৷ দেশের মোট সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অর্ধেকের বয়স কমবেশি ছয় বছর৷ এসব প্রতিষ্ঠান সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে কাজ করে৷

সামাজিক ব্যবসা হলো এমন এক ধণের ব্যবসা, যেখানে সামাজিক উদ্দেশ্য এবং ফের বিনিয়োগের ওপর বেশি জোর দেয়া হয়৷ মালিক ও অংশীদাররা এজন্য শুধু মুনাফা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব না দিয়ে সামাজিক কর্মকাণ্ডের ওপর গুরুত্ব দেন৷ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, অবহেলিতদের গুরুত্ব দেয়া হয়৷ নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক বৈষম্য দূর করাসহ সমাজের ছোট-বড় সমস্যা নিয়ে কাজ করেন তারা৷

রবিবার এই জরিপের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বাংলাদেশ পরিচালক বারবারা উইকহ্যাম বলেন, সামাজিক ব্যবসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে পথিকৃত্‍৷ এ নিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)-র অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সামাজিক ব্যবসা একটি কাঠামোগত ব্যবসা৷ এর জন্য গ্রামীণ ব্যাংকসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠান ঋণের পাশাপাশি প্রশিক্ষণও দেয়৷ এই ব্যবসাটি করতে স্বচ্ছ ধারণা নিয়েই নারীরা মাঠে নামেন৷ ফলে তারা সফল হচ্ছেন৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘এই ব্যবসার উদ্যোক্তা লাভের অংশ পুরো নিয়ে যেতে পারেন না৷ তাঁকে আবার বিনিয়োগ করতে হয়৷ ফলে ব্যবসা বাড়ে এবং সম্প্রসারিত হয়৷ নারীরা এই ব্যবসায় এগিয়ে আসার কারণ এখানে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি ব্যবসাটি হাত কলমে শেখানোও হয়৷''

ড. নাজনীন আহমেদ বলেন. ‘‘এখান থেকেই আবার কেউ মূল ধারার ব্যবসায় চলে যেতে পারেন৷ ফলে এখানকার সফলতা নারীদের মূল ধারায় অংশগ্রহণও বাড়াবে৷'' প্রসঙ্গত, সামাজিক ব্যবসার প্রথম ধারণা দেন বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এবং শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য