1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সারারাত জোটবাহিনীর বোমা, মুক্ত আজদাবিয়া

২৬ মার্চ ২০১১

লিবিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর আজদাবিয়ার দখল ফিরে পেল বিদ্রোহীরা৷ একাজে তাদের সহায়তা করেছে আন্তর্জাতিক বাহিনী৷ লড়াই এখন মিসরাতা আর ত্রিপোলিতেও অব্যাহত রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/10hu8
‘আমি লিবিয়াকে ভালোবাসি’ লেখা আছে হাতে৷ গাদ্দাফিবিরোধী বিক্ষোভেছবি: dapd

সারারাত ধরে লড়াই, মুক্ত আজদাবিয়া

আজদাবিয়া আসলে তেলের জন্যই বেশি পরিচিত৷ লাখখানেকের বেশি মানুষ সে শহরের বাসিন্দা৷ গাদ্দাফির সেনাবাহিনীর হাত থেকে শহরের দখল উদ্ধার করতে পশ্চিমের বিমানবাহিনী শুক্রবার সারারাত বোমা ফেলে আজদাবিয়ায়৷ অবশেষে শনিবার স্থানীয় সময় সকালে দেখা যায়, বিধ্বস্ত সাঁজোয়া যান সহ অন্যান্য সামরিক জিনিসপত্রের দখল ছেড়ে দিয়ে গাদ্দাফি বাহিনী সরে গেছে৷ শহরের দখল ফের ফিরে পেয়েছে বিদ্রোহীরা৷ পরে লিবিয়ার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ কাইম আজদাবিয়ার দখল ছেড়ে লিবিয়ান বাহিনীর সরে আসার কথা স্বীকার করে বিবৃতি দিয়ে বলেন, পশ্চিমের বাহিনীর হামলা প্রতিহত করতে পারেনি লিবিয়ার সেনাবাহিনী৷

Libyer Versammlung Benghazi NO FLASH
বেনগাজিতে গাদ্দাফি বিরোধী মিছিলের একাংশ৷ছবি: picture alliance/dpa

কী অবস্থা এখন আজদাবিয়ার

আজদাবিয়ার পথে পথে সকাল থেকেই বিদ্রোহীদের তুমুল আনন্দ করতে দেখা গেছে৷ শহরের অলিগলিতে গাদ্দাফিবাহিনীর অবশেষ খুঁজে চলেছে বিদ্রোহীরা৷ গুপ্ত হামলা থামাতেই এই প্রয়াস৷ জানিয়েছে তারা৷ শহরের পশ্চিম এবং পূর্ব দু'টি তোরণেরই দখল এখন বিদ্রোহীদের হাতে৷ দুটি তোরণের মুখেই অসংখ্য লাশ পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা৷ সেগুলি সবই গাদ্দাফির সেনাবাহিনীর লোকজনের৷ ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ব়্যাফ টোর্নাডো বিমান থেকে ব্রিমস্টোন দ্বারা পরিচালিত মিসাইলের সাহায্যেই গাদ্দাফিবাহিনীকে আজদাবিয়া থেকে হঠানো গেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ গত কয়েকদিন ধরে গাদ্দাফিবাহিনীর ওপর এই মিসাইল হামলা চালাচ্ছিল ব্রিটিশ বাহিনী৷ আজদাবিয়ার পথে পথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের নামে জয়ধ্বনি দেওয়া স্লোগান শোনা যাচ্ছে শনিবার, জানাচ্ছে বিবিসি৷

মিসরাতা, ত্রিপোলিতেও চলছে লড়াই

রাজধানী ত্রিপোলির তাজুরা এলাকায় লিবিয়ান সেনাবাহিনীর একটি রাডারকে ধ্বংস করে দিয়েছে পশ্চিমের বিমানবাহিনী৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাডার যেখানে ছিল, বিমানহামলার পর সেই দপ্তরে আগুন লেগে গেছে৷ বিদ্রোহীদের হাত থেকে মিসরাতা শহরের দখল ছিনিয়ে নিতে সেখানেও গাদ্দাফিপন্থীরা জোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে৷ লিবিয়ার শাসক কর্ণেল গাদ্দাফি সেনা ও পুলিশবাহিনীর সব সদস্যের পদোন্নতির প্রস্তাব করেছেন৷ তবে তাতে তেমন কোন সুফল পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়

সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস