1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সার্ডিনিয়ায় গ্রেপ্তার কাটালান নেতা

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। শেষপর্যন্ত সার্ডিনিয়ায় গ্রেপ্তার করা হলো গুরুত্বপূর্ণ কাটালান নেতাকে। একসময় তিনি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন।

https://p.dw.com/p/40mXS
কাটালান নেতা
ছবি: John Thys/AFP/Getty Images

কাটালুনিয়ার এক সময়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন কার্লেস পুজদেমন। বৃহস্পতিবার তাকে সার্ডিনিয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়। তার নামে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বেরিয়েছিল। পুলিশের দাবি, এতদিন তিনি ফেরার ছিলেন। পুলিশ তাকে খুঁজে পায়নি। কার্লেসের গ্রেপ্তার নতুন করে কাটালান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আন্দোলনকে উসকে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কার্লেসের আইনজীবী গনজালো বোয়ে টুইট করে জানিয়েছেন, 'প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি সার্ডিনিয়ায় ফিরছিলেন।' শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আদালত ঠিক করবে, তাকে আপাতত জামিনে রেহাই দেওয়া হবে, না কি স্পেনের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। স্পেনের সরকার ইতিমধ্যেই ইটালির সরকারের কাছে কার্লেসকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে কোনো সাধারণ নাগরিকের মতোই কার্লেসের বিচার প্রক্রিয়া চালাতে হবে বলে দাবি করেছে স্পেন।

২০১৭ এবং পরবর্তী অধ্যায়

কাটালান বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের অন্যতম মুখ কার্লেস। ২০১৭ সালে কাটালুনিয়ায় গণভোটের পরে স্পেন থেকে পালান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন আরো দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। ২০১৭ সালে ওই নেতারা কাটালানে স্বাধীন গণভোটের ব্যবস্থা করেছিলেন। যেখানে জনতা স্পেন থেকে কাটালুনিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার পক্ষে রায় দিয়েছিল। স্পেনের সরকার ওই গণভোটকে বেআইনি এবং অবৈধ বলে ঘোষণা করে। কার্লেস সহ একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা করা হয়। এরপরেই স্পেন থেকে পালান কার্লেস। কার্লেস পালালেও তার বিরুদ্ধে তখনই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারেনি স্পেন। কারণ, কার্লেস ছিলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য। সেখানে তার রক্ষাকবচ ছিল। ২০১৯ সালে সেই রক্ষাকবচ হারান কার্লেস। তারপরেই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সেই পরোয়ানা দেখিয়েই বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বেলজিয়ামের জীবন

গত চার বছর কার্লেস বেলজিয়ামে ছিলেন বলে জানা গেছে। সার্ডিনিয়ায় তিনি কাটালান আন্দোলন নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলেন বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। বস্তুত, তাকে গ্রেপ্তার করার ফলে কাটালানে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন আবার নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)