সিংহের বাচ্চা!
৩১ অক্টোবর ২০১৬মার্কিন মুলুকের স্যান ডিয়েগো সাফারি পার্কের লায়ন ক্যাম্প৷ তারিখটা সম্ভবত তেসরা অক্টোবর, ২০১৪, কেননা ভিডিওটা সেইদিনই পাবলিশ করা হয়৷ তারপর সিংহশাবকদের পিতৃসন্দর্শনে যাওয়ার এই রাজকীয় দৃশ্য দেখেছেন আঠাশ লাখের বেশি দর্শক৷
আগে নামধামগুলো বলে নেওয়া যাক৷ সিংহদম্পতির নাম হল ইজু আর ওশানা৷ মা ওশানা তার চার ছানা নিয়ে এতোদিন অন্য এনক্লোজারে ছিল, যদিও সেখান থেকে বাবা ইজুকে দেখা যেত৷ ছানাদের নাম আর্নেস্ট, ইভলিন, মারিওন আর মিস এলেন – একটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে৷
বাবা ইজুকে প্রথমে এক মাস ধরে নিরাপদ দূরত্ব থেকে দেখেছে তার ছানাপোনারা৷ তারপর ইজু বেড়ার ফাঁক দিয়ে তার (সর্বাধুনিক) খোকাখুকিদের গন্ধ শুঁকেছে, এমনকি চেটে আদর করেছে৷ তাই এবার গোটা পরিবারকে একসঙ্গে করার কথা ভাবা হয়েছে৷
আর্নেস্ট, ইভলিন, মারিওন আর মিস এলেন তো একদৌড়ে ছুটে বেরিয়ে এসেছে, বাবাকে দেখবে বলে৷ আর এ বাবাও দেখবার মতো বাবা! বাবা কিন্তু প্রথমেই যা দেখাল, তা হল তার পাতকুয়োর মতো বড় হাঁ আর ইস্ক্রুপ-ড্রাইভারের মতো বড় বড় দাঁত – দেখে খোকাখুকিরা কেউ উল্টে পড়ে তো কেউ পালানোর পথ পায় না৷
বাবা ইজু এদিকে নিশ্চয় ভাবছে, ছেলেপিলেদের গোড়াতেই সম্ভ্রম শেখানো উচিত৷ এখনই ন্যাজ নিয়ে খেলা করতে চায়, পরে হয়ত মাথায় চড়ে নাচবে৷ তাই ইজু তার খোকাখুকি, গিন্নি আর জু কিপারদের সকলকেই একবার সিংহগর্জ্জন কাকে বলে, সেটা শুনিয়ে দিল৷
হুম বাবা, মার্জার প্রজাতির মধ্যে একমাত্র সিংহরাই যাকে বলে কিনা সোশ্যাল, মানে তারা দল বেঁধে থাকে পুরনো জয়েন্ট ফ্যামিলি সিস্টেমে৷ কাজেই ইজুকে তার কর্তৃত্ব রক্ষা করতে হবে না? সে তো আর কারোর ওপর থাবা বসায়নি, দাঁত তো দূরের কথা৷ সিংহের বাচ্চার কাছে ঐ হলো পিতৃস্নেহ...৷
এসি/ডিজি