সিডনির আতসবাজি উৎসব ঘিরে বিতর্ক
১ জানুয়ারি ২০২০শেষ পর্যন্ত উৎসব হল৷ কিন্তু আনন্দ হল না প্রতি বছরের মতো৷ নতুন বছরে সিডনির হারবারে আতশবাজি ফুটল৷ কিন্তু তা ছাপিয়ে গেল বিতর্ক৷ প্রশ্ন উঠল, গোটা দেশ যখন দাবানলে দগ্ধ, তখন এই উৎসবের কি কোনও প্রয়োজন ছিল?
গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দাবানলের আগুনে জ্বলছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত৷ সিডনি থেকে শুরু করে মেলবোর্ন-- আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র৷ এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা নয়৷ ঘর পুড়ে গিয়েছে এক হাজার পরিবারের৷ নিখোঁজ বহু৷ বাড়ি ছেড়ে সমুদ্রের ধারে আশ্রয় নিয়েছেন অসংখ্য মানুষ৷ এই পরিস্থিতিতে নতুন বছরের উৎসব আদৌ যুক্তিযুক্তি কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মানুষ৷ বিশেষত এত আগুনের মধ্যে আতসবাজির উৎসব ঠিক নয় বলেই মনে করেছিলেন অনেকে৷ পরিবেশবিদেরাও এর বিরুদ্ধে ছিলেন৷
এমন পরিস্থিতিতে মেলবোর্ন এবং ক্যানবেরার আতশবাজি উৎসব বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''বহু সমস্যা থাকলেও আতশবাজির উৎসব বন্ধ হবে না৷ কারণ এই উৎসব অস্ট্রেলিয়ার গর্ব৷ আমরা গোটা পৃথিবীকে দেখাতে চাই, অস্ট্রেলিয়া উদ্যম হারিয়ে ফেলেনি৷''
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই সিডনির হারবারে আতশবাজি উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়৷ কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এর প্রতিবাদ করেন অনেকেই৷ দাবানলে এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস৷ সেখানকার নেতা জন ব্যারিলারো সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'অত্যন্ত বিপজ্জনক পদক্ষেপ৷ দমকলকর্মীরা দিন রাত এক করে কাজ করছেন৷ তাঁদেরকেও একটু বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া উচিত৷'
পরিবেশবিদদের একটা বড় অংশ মনে করছে, এই পরিস্থিতিতে আতশবাজির প্রদর্শন থেকে দূরে থাকা উচিত ছিল সিডনির৷ কারণ দাবানলে দূষণের মাত্রা ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে৷ তার উপর আতশবাজি দূষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে৷
এসজি/কেএম (দ্য টেলিগ্রাফ, মেট্রো নিউজ, রয়টার্স)