1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হলো ইইউ অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলন

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১১

কোন ধরণের সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থ মন্ত্রীদের সম্মেলন৷ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি নিয়ে দ্বিমত এবং সম্মেলনের বাইরে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভের কারণে আগেভাগেই সম্মেলনের সমাপ্তি টানা হয়৷

https://p.dw.com/p/12bF2
সম্মেলনে জার্মান অর্থমন্ত্রী (বামে)ছবি: dapd

ইউরোপীয় ইউনিয়নের একের পর এক দেশ দেউলিয়াত্বের সম্মুখীন হওয়ায় এখন ইউরোর ভবিষ্যত নিয়ে গভীর শঙ্কা দানা বেঁধে উঠছে৷ অন্যদিকে এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারগুলো যেসব আর্থিক কাট-ছাঁটের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তার ফলে জনরোষও বাড়ছে৷ এই দ্বিমুখী সঙ্কট সামনে নিয়েই গত দুইদিন ধরে পোল্যান্ডের ব্রতসোয়াফ শহরে হয়ে গেল ইইউর অর্থমন্ত্রীদের দুই দিনের সম্মেলন৷

ইইউর বর্তমান সভাপতি দেশ পোল্যান্ডের আমন্ত্রণে এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী টিমোথি গাইথনার৷ কিন্তু সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্পষ্ট দ্বিমত দেখা দেয় ইইউর একাধিক সদস্যের৷ মার্কিন অর্থমন্ত্রী গাইথনার পরামর্শ দেন, ইইউর আর্থিক মন্দায় পড়া দেশগুলোর জন্য ৪৪০ বিলিয়ন ইউরোর উদ্ধার তহবিলকে আরও জোরদার করতে৷ কিন্তু তার এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করে জার্মান অর্থমন্ত্রী ভোল্ফগাং শ্যোয়েবলার পাল্টা আহ্বান জানান, বিশ্ব বাজারে আর্থিক লেনদেনের ওপর করারোপের যে প্রস্তাবের বিরোধীতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, তারা সেটি প্রত্যাহার করে নিক৷ এই সময় জার্মানির পাশাপাশি বেলজিয়ামও মনে করিয়ে দেয় যে, বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ঋণের ভার বহন করছে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই৷

Geithner beim EU-Finanzministertreffen
উপস্থিত ছিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী টিমোথি গাইথনারছবি: dapd

তবে বিশ্ব বাজারে আর্থিক লেনদেনের ওপর করারোপের প্রস্তাব নিয়ে খোদ ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যেই ভিন্নমত রয়েছে৷ বেলজিয়ামের অর্থমন্ত্রী দিদিয়ের রাইনদাস স্বীকার করেন যে, এই নিয়ে এখনই কোন ঐকমত্য হচ্ছে না৷ তবে এটি যদি ইইউর মধ্যে সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত ইউরো জোনের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ জানা গেছে, আর্থিক লেনদেনের ওপর করারোপের প্রস্তাবে এখনও গররাজি ব্রিটেন৷

এদিকে ব্রতসোয়াফে সম্মেলনস্থলের বাইরে হাজার হাজার মানুষ আজ বিক্ষোভ করেছে৷ তারা যে কোন ধরণের আর্থিক কাট ছাঁটের বিরোধীতা করেছে৷ বার্তা সংস্থাগুলো জানায়, গোটা ইউরোপের নানা দেশ থেকে অন্তত ১২ হাজার মানুষ এই প্রতিবাদে অংশ নেয়৷ তারা অব্যাহত বেকারত্ব বৃদ্ধি ও করারোপের প্রতিবাদ জানায়৷

তবে এই দুইদিনের সম্মেলনে কোন ধরণের অগ্রগতি হয়েছে কী? এই প্রশ্ন করা হলে ফিনল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী ইউটা উরপিলেইনেন বলেন, ‘‘নতুন কিছুই নেই''৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক