সিবিআই-জালে পশ্চিমবঙ্গের দুই মন্ত্রী

দুর্নীতি করে মেয়েকে স্কুলের চাকরি পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ শিক্ষা-প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে। এবিষয়ে তাকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পরেশ যদিও উত্তরবঙ্গে চলে যান। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, বিকেলের মধ্যে পরেশকে সিবিআই দপ্তরে যেতে হবে। এবিষয়ে কড়া মন্তব্য করেন বিচারপতি। অন্যদিকে হাইকোর্টের নির্দেশের জেরেই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল আরেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হবে শুনেই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে চলে গেছিলেন পরেশ। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে কড়া নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বাধ্য হয়ে বিকেলের বিমানে বাগডোগরা থেকে কলকাতায় আসেন পরেশ। বিমানবন্দরে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেখান থেকে সরাসরি সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেসে রওনা হন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

নম্বর কম পাওয়া সত্ত্বেও স্কুল সার্ভিস কমিশনের তালিকায় এক নম্বরে ছিল পরেশের মেয়ে অঙ্কিতার নাম। ওই তালিকাতেই ছিলেন ববিতা, লিখিত পরীক্ষায় অঙ্কিতার থেকে বেশি নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও তার নাম নীচে ছিল। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে।

গরুপাচার মামলায় দীর্ঘদিন ধরে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করার চেষ্টা করছে সিবিআই। এর আগে কলকাতায় এসে সিবিআই দপ্তরে না গিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অনুব্রত। বৃহস্পতিবার সিবিআই দপ্তরে যান অনুব্রত। কিন্তু শরীর খারাপ লাগছে বলে তিনি বেশিক্ষণ থাকেননি। আবার হাসপাতাল চলে যান। পরে তিনি নিজের বাড়ি ফিরে যান।

সিবিআই জানিয়েছে, আগামী বুধবার অনুব্রতকে সিবিআই দপ্তরে হাজির থাকতে হবে।

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তাকে 'পক্ষ' হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি, অথচ, এখন তাকে সিবিআই ডেকে পাঠাচ্ছে। তাই রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন রাজ্যের সাবেক শিক্ষা ও বর্তমানে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হতে পারে।

কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে পার্থকে সিবিআই দপ্তরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পার্থ ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও লাভ হয়নি। বুধবার সন্ধ্যায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রীকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জেরা করে সিবিআই। পার্থের আশঙ্কা, ফের তাকে ডাকা হতে পারে।

আদালতের নির্দেশে এসএসসি দপ্তর কার্যত ঘিরে রেখেছে পুলিশ। তারই মধ্যে দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তাকে এদিন ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয়। বুধবার এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ইস্তফা দেয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার জানা যায়, তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। এসএসসি মামলায় সিদ্ধার্থের বয়ান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।