সিরিয়া এবং ইরাকে এখনো আইএস যোদ্ধা রয়েছে
১৪ আগস্ট ২০১৮জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় এখনো জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বিশ থেকে ত্রিশ হাজার যোদ্ধা রয়েছে৷
যদিও গত বছর সামরিক অভিযানে জঙ্গি গোষ্ঠীটি নিজেদের দখলে থাকা এলাকা হারিয়েছে এবং বিদেশি যোদ্ধার সরববাহও প্রায় বন্ধ রয়েছে, তারপরও গোষ্ঠীটি দুই দেশে প্রায় সমানসংখ্যক যোদ্ধা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে৷ তাদের মধ্যে বিদেশি জঙ্গি যোদ্ধাও রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে৷
প্রসঙ্গত, গত বছর ইরাকি এবং সিরীয় বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয়ের পরইসলামিক স্টেটের অবস্থা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাচ্ছিল না৷ জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠীটি এখনো শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে৷ এমনকি দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অল্প কিছু এলাকা এখনো দখল করে রেখেছে গোষ্ঠীটি৷ সেখানে অবস্থানরতরা তেল বিক্রির মাধ্যমে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করছেন৷
ইরাকে অবশ্য জঙ্গি গোষ্ঠীটির দখলে আর কোনো এলাকা নেই৷ তবে ‘স্লিপিং সেলের' মাধ্যমে সেখানে সক্রিয় রয়েছে গোষ্ঠীটি৷ তাদের অনেক যোদ্ধা ইরাকের প্রত্যন্ত মরুভূমি অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷
জাতিসংঘের প্রতিবদনে আরো দাবি করা হয়েছে, জঙ্গি গোষ্ঠীটির অর্থপ্রাপ্তির অনেক চ্যানেল পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে দেয়া সম্ভব হয়েছে৷ আর যে সংখ্যক বিদেশি যোদ্ধা সিরিয়া এবং ইরাকে থাকবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, সংখ্যাটা তার চেয়ে কম, কেননা, জঙ্গি গোষ্ঠীটির বিদেশি সেনাদের অনেকেই আফগানিস্তানে চলে যেতে সক্ষম হয়েছেন৷ তাদের মধ্যে সিনিয়র জঙ্গি যোদ্ধারাও রয়েছেন৷
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইরাকের মোসুল দখল করে ইসলামি খেলাফত ঘোষণা করেন ইসলামিক স্টেটের শীর্ষ নেতা আবু-বকর আল বাগদাদী৷ এরপর গোটা বিশ্বে ত্রাস সৃষ্টিতে সক্ষম হয় আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীটি৷ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জঙ্গি গোষ্ঠীটির জঙ্গিরা বড় ধরনের হামলা চালাতে সক্ষম হয়, যাতে অনেক সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান৷ তবে গত বছর পশ্চিমাদের সহায়তায় সিরিয়া এবং ইরাকের সামরিক বাহিনী ইসলামিক স্টেটের দখলে থাকা দেশ দু'টির ভূখন্ড পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়৷
এআই/এসিবি (এএফপি, ইএফই)