সিরিয়া প্রশ্নে নিরাপত্তা পরিষদে ঐক্য নেই
২ আগস্ট ২০১১এদিকে সিরিয়া প্রশ্নে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বিভেদ কাটছে না৷
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক
গত রবিবার হামা সহ পুরো সিরিয়ায় প্রায় ১৩০'এর বেশি লোক মারা যাওয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এক বৈঠকে মিলিত হন৷ কাল সোমবার ছিল এর প্রথম দিন৷ জার্মানি সহ ব্রিটেন, ফ্রান্স আর পর্তুগাল সিরীয় সরকারের সমালোচনা করে একটি বিবৃতি দেয়ার প্রস্তাব করেছিল৷ কিন্তু সে ব্যাপারে একমত হওয়া যায়নি৷ মূলত রাশিয়া আর চীনের কারণেই এটা সম্ভব হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে৷ আজও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে৷ তবে এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রতিনিধি বিবৃতির ব্যাপারে তাদের মনোভাব কিছুটা পরিবর্তনের আভাষ দিয়েছে৷ তিনি বলছেন, বিবৃতিতে সংঘর্ষ বন্ধ ও রাজনৈতিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার কথা বলা যেতে পারে৷
সামরিক অভিযান?
কিন্তু লিবিয়ার মতো সামরিক অভিযান নিয়ে কেউ কথা বলছেনা৷ ফ্রান্স বলছে, সিরিয়া আর লিবিয়ার ঘটনা এক নয়৷ তাই কোনো সামরিক অভিযানের কথা ভাবা হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র৷ তবে কেন দুই দেশের ঘটনা এক নয়, সাংবাদিকরা এ কথা জানতে চাইলে ঐ মুখপাত্র কোনো উত্তর দেননি৷ এদিকে সিরিয়া থেকে রাষ্ট্রদূতদের সরিয়ে নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইটালি৷ তবে ইইউ যে নিজের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনবেনা সেটা জানিয়ে দিয়েছেন ইইউ'র পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশ্টন৷ এর কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতেই এই সিদ্ধান্ত৷
সবশেষ পরিস্থিতি
আজ মঙ্গলবারও হামা শহরে সামরিক বাহিনী টহল দিচ্ছে৷ ভয়ে লোকজন পালিয়ে যাচ্ছে৷ এদিকে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সানা বলছে, ‘স্যাবোটাজ' বা অন্তর্ঘাত করতে গতকাল সোমবার শতশত মুখোশধারী হামা শহরের আদালত ভবনে আগুন দিয়েছে এবং পরে ভাঙচুর করেছে৷ উল্লেখ্য, এই হামা শহরে ১৯৮২ সালে ইসলামি বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল৷ সেটা দমন করতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসাদের বাবা হাফেজ তখন একই রকম সামরিক অভিযান চালিয়েছিলেন৷ তাতে মারা গিয়েছিল প্রায় বিশ হাজার মানুষ৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন