1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘পরিণতি খারাপ হবে’’

২৫ জুলাই ২০১৩

সিরিয়ার বিদ্রোহীরা অস্ত্র সহায়তা চেয়ে আসছে অনেকদিন ধরে৷ এ দাবি পূরণের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রও দিয়েছে অবশেষে৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তাই মনে করেন যুদ্ধে জড়ালে পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/19E0n
ছবি: Reuters

দু'বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়৷ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে অপসারণ করতে লড়ে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা৷ আসাদের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে তাদের এ যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে৷ প্রতিবেশি দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক সিরীয় নাগরিক৷ রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা চলছে৷ চলছে যুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ করার চেষ্টাও৷ আধুনিক অস্ত্র পেলে বিদ্রোহীরা তাড়াতাড়ি আসাদের পতন নিশ্চিত করতে পারবে – এ ধারণা থেকে পশ্চিমা বিশ্বে বিদ্রোহীদের অস্ত্রসহায়তা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছিল৷ যুক্তরাষ্ট্রের তাতে আপত্তি ছিল৷ ওবামা সরকার মনে করে, বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিলে সে অস্ত্র ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলোর কাছে চলে যেতে পারে৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য সে আশঙ্কা দূরে ঠেলে অস্ত্র সহায়তা দেয়ার পথে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷

কিন্তু বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি এক চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া যুদ্ধে জড়ালে ‘‘আগে পরবর্তী পরিণামের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে৷'' ইরাক, আফগানিস্তান এবং লিবিয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি সামরিক হস্তক্ষেপের আর্থিক ক্ষতির দিকটাও তুলে ধরেছেন চিঠিতে৷ জেনারেল ডেম্পসির এ চিঠিরও একটা পটভূমি আছে৷ গত সপ্তাহে সিনেটর জন ম্যাককেইন সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে কিনা – এ বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছিলেন জেনারেল ডেম্পসির কাছে৷ জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের প্রধান জবাবে বলেছিলেন, কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধিরই উচিত এ সম্পর্কে কথা বলা৷ কিন্তু তারপরও তাঁর ওপর চাপ অব্যাহত থাকায় একটি চিঠির মাধ্যমে সরাসরিই নিজের মতামত জানালেন ডেম্পসি৷ তাঁর একটাই আশঙ্কা – ইরাক, আফগানিস্তান এবং লিবিয়ার মতো আরেক মুসলিম অধ্যুষিত দেশ সিরিয়ায় যু্দ্ধে জড়ানোর পরিণামও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খারাপ হতে পারে৷

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য