মধ্যস্থতা চায় ইরান
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশন (এসএনসি) এক বিবৃতিতে আল-কায়েদা সমর্থিত বিদ্রোহীদের কঠোর সমালোচনা করেছে৷ এর আগে আল-কায়েদা সমর্থিত বিদ্রোহীরা উত্তরাঞ্চলীয় শহর আজাজ দখল করে নেয়৷ শহরটি মূলত এনএসসি সমর্থিত বিদ্রোহীদের দখলে ছিল৷ বিবৃতিতে বলা হয়, আল-কায়েদার মদতে বিদ্রোহীদের একটা অংশ সিরিয়ায় ইসলামি শাসন কায়েম করতে চায়৷ ওই বিদ্রোহীরা ‘সিরিয়া বিপ্লবের মূল নীতির পরিপন্থি কাজ করছে' বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে৷ আসাদ বিরোধীদের মধ্যে ব্যবধান তৈরি করে সংগ্রামকে কঠিন এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে প্রকারান্তরে সহায়তা করছে জানিয়ে এসএনসি আরো বলেছে, ওই বিদ্রোহীদের প্রভাব দ্রুত বেড়ে চলেছে৷
এদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র আপাতত সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখলেও উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি৷ গত সপ্তাহান্তে স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, সিরিয়া শিগগিরই রাসায়নিক অস্ত্র নিরোধের কাজ শুরু করবে৷ যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রদের কাছে প্রেসিডেন্ট আসাদের গৃহীত পদক্ষেপ ইতিবাচক মনে না হলে আবার উত্তেজনা দেখা দিতে পারে৷ তবে আশার কথা হলো, সিরিয়া সংকট নিরসনে ইরানও ভূমিকা রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷ শুক্রবার ওয়াশিংটন পোস্ট-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি বলেছেন, ‘‘এ অঞ্চলের মানুষ যেন নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে সেরকম পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে আমাদের৷ এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আমি জানিয়ে রাখতে চাই যে, আমাদের সরকার সিরিয়া সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত৷''
গত আগস্টে ইরানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে রোহানি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর দেশের দীর্ঘ বৈরিতার অবসানের জন্যও সংলাপ শুরুর আগ্রহ দেখিয়ে আসছেন৷ আগামী মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন তিনি৷ ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক এবং সিরিয়া সংকটের বিষয়ও গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
এসিবি / এসবি (ডিপিএ, এপি,এএফপি)