কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা
১৩ এপ্রিল ২০১৭এক মার্কিন বিমানবাহী রণতরি সম্ভবত এক সপ্তাহের মধ্যেই কোরীয় উপদ্বীপের কাছেই অবস্থান নিতে চলেছে৷ উত্তর কোরিয়া তার ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে নানা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷ আরও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷
ফলে উত্তেজনার পারদ চড়ছে৷ এই অবস্থায় হামলার শিকার হলে উত্তর কোরিয়া কী করে বসবে, তা অনুমান করা কঠিন৷ এই অবস্থায় প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া আশা করছে, এমন হামলা হলে ওয়াশিংটন আগেভাগেই তাদের সতর্ক করে দেবে৷
চীনও তার দোরগোড়ায় এমন সামরিক উত্তেজনা নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় ভুগছে৷ এই উত্তেজনা কমাতে শান্তিপূর্ণ সমাধানসূত্র চাইছে সে দেশ৷ তারই অঙ্গ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে পরমাণু কর্মসূচি বাতিল করার ডাক দিয়েছে বেইজিং৷ রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট পত্রিকা ‘গ্লোবাল টাইমস'-এর এক সম্পাদকীয়তে উত্তর কোরিয়াকে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, যে মুহূর্তে চীনের পরামর্শ মেনে সে দেশ পরমাণু কর্মসূচি ত্যাগ করবে, তখন থেকেই চীন পরমাণু অস্ত্র-মুক্ত এক কোরীয় উপদ্বীপের নিরাপত্তা রক্ষায় সক্রিয় হয়ে উঠবে৷
এমন পরিস্থিতিতে জাপান সরাসরি উত্তর কোরিয়ার হামলার শিকার হবে বলে আশঙ্কা করছে৷ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সংসদে বলেছেন, পিয়ং ইয়ং ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে জাপানের উপর সারিন নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ করতে পারে৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া কোনো রকম প্ররোচণা করলে তা সহ্য করা হবে না৷ তবে মার্কিন কর্মকর্তারা আশ্বাস দিচ্ছেন, আপাতত আরও কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷
উত্তর কোরিয়া এই পরিস্থিতিতেও আস্ফালন চালিয়ে যাচ্ছে৷ পিয়ংইয়ংয়ে কর্মরত বিদেশি সাংবাদিকদের জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সবচেয়ে বড় উৎসবের এক ‘গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা'-র জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়৷ তবে সেটি ছিল শহরের কেন্দ্রস্থলে নতুন এক রাস্তার উদ্বোধন অনুষ্ঠান৷ এ দিন আরও কোনো বড় ঘটনা ঘটবে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ সে দেশের নেতা কিম জং উন জানিয়ে দিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া যে কোনো রকম যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত৷ তিনি সম্প্রতি ‘স্পেশাল ফোর্সেস' বাহিনীর একটি মহড়াও পরিদর্শন করেছেন৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)